রোববার   ১৯ মে ২০২৪ || ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৮:৫০, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

গাইবান্ধা জুড়ে রক্তিম রঙে রঙিন শিমুল ফুল

গাইবান্ধা জুড়ে রক্তিম রঙে রঙিন শিমুল ফুল

রক্তিম রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে শিমুল গাছের ফুল। ফুটন্ত এ ফুল দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবার মন। এরপরই রক্তলাল থেকে সাদা ধূসর হয়ে তৈরি হয় তুলা। কিন্তু এখন বিভিন্ন প্রযুক্তিতে তুলা তৈরি ও ফোম ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিমুল তুলা ব্যবহার নেই বললেও চলে।

আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা শোভাবর্ধনে ঝুলে থাকতো শিমুল ফুল। তবে কালের বিবর্তনে ঋতুরাজ বসন্তে এখন আর যেখানে সেখানে চোখে পড়েনা রক্তলাল শিমুল গাছ। মূল্যবান শিমুল গাছ এখন বিলুপ্তির পথে।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাইবান্ধা-মাদারগঞ্জ সড়কের এনায়েতপুর স্থানে দেখা মিলল ফুটন্ত ফুলের রক্তলাল শিমুল গাছের। যেন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এই লাল রঙ।

এনায়েতপুর এলাকার বৃদ্ধা নছিম বেওয়া বলেন, ‘শিমুল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামের মানুষ আখের গুড় তৈরিতে শিমুলের রস ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে গাছের মূলকে ব্যবহার করতো।’

ওই এলাকার আরেক বৃদ্ধ কচিমুদ্দিন মাস্টার জানান, গ্রাম বাংলার এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিত। মানুষরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে, এমন নজিরও আছে। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন আর তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছের।

গাইবান্ধার বন বিভাগ কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) আখতারুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘শিমুল গাছের কাঠ দিয়ে তৈরিকৃত ফার্নিচার খুব বেশি স্থায়ীত্ব হয় না। এছাড়া বিভিন্ন প্রযুক্তিতে তুলা তৈরি ও ফোম ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিমুল তুলা অনেকে ব্যবহার করছে না। ফলে শিমুল গাছ হারিয়ে যাওয়ার পথে।’

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ