শনিবার   ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ || ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত : ০৭:৫৭, ৩ মে ২০২৪

আপডেট: ০৯:৩২, ৩ মে ২০২৪

সান্তাহার রেল স্টেশনে অপ্রীতিকর ঘটনা, বেরিয়ে এলো মূল ঘটনা

সান্তাহার রেল স্টেশনে অপ্রীতিকর ঘটনা, বেরিয়ে এলো মূল ঘটনা
সংগৃহীত

গত ২রা মে (বৃহস্পতিবার) রাত থেকে বগুড়ার শান্তাহার রেল স্টেশনে ঘটে যাওয়া একটি অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে কিছু ভিত্তিহীন লিখা ও সংবাদ প্রকাশ করছে একটি কুচক্রী মহল। ঘটনাটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যেন সেনাবাহিনী দ্বারা এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা।

কিন্তু ইন্টারনেটে প্রকাশিত কোন কিছু বিশ্বাস করার আগে তার সবদিক দেখে নেয়াটাই উত্তম। কারণ শুধুমাত্র ঘটনার একটি দিক প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু অপরদিকে রয়েছে এক ভয়ানক সত্য।

ঘটনার সূত্রপাত পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য সাপ্তাহিক ছুটিতে জামাল্পুর এর উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলেন। সময় সল্পতার কারণে টিকেট কাটতে না পারায় তারা ট্রেনেই টিকেট কাটবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে টিকেট চেকার এসে টিকেট চাইলে সেনা সদস্যরা স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে দিতে বলেন। টিকেট চেকার প্রতি টিকেট এক হাজার টাকা করে চাইলে সেনা সদস্যরা জানতে চায় তিনশ টাকা বেশি চাওয়ার কারণ।

উল্লেখ্য, উক্ত ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকেটের দাম ৭০০ টাকা।

সেনা সদস্যরা তার এই দুর্নীতি ধরে ফেললে সেই টিকেট চেকার মারমুখী আচরণ শুরু করেন এবং এক সৈনিককে শারীরিকভাবে আঘাত করে বসেন। ট্রেনে উপস্থিত সকলে এটা নিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং এক বৃদ্ধ ব্যক্তি এইসব ঘটনা ফোন ক্যামেরায় রেকর্ড করলে অভিযুক্ত টিকেট চেকার সেই ফোন পর্যন্ত ভেঙ্গে ফেলেন।

তার এমন কর্মকাণ্ড দেখে উপস্থিত সকলে অবাক হয়ে যায়। কারন তার আচরণ মোটেও স্বাভাবিক ছিলনা।   

তার এহেন কর্মকান্ডে ট্রেনের যাত্রী এবং স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু উৎসুক জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রেন এবং ট্রেনের স্টাফদের উপরে হামলা চালায়। সেনা সদস্যদের কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িতই ছিলেন না। এই ঘটনা শেষ হওয়ার আগেই তারা বাসযোগে তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশীদের কাছে একটি আবেগের নাম একটি ভরসার নাম। আর সেই আবেগকে পূঁজি করে সেনাবাহিনীকে কলঙ্কিত করতে একটি গোষ্ঠী তাদের তৎপরতা শুরু করেছে জোরেশোরে।

এই দেশকে যারা নিরাপদ রেখেছে তারা কিভাবে আইনভঙ্গ করতে পারে তা একবার সুস্থ মস্তিষ্কে ভেবে দেখলেই উত্তর পাওয়া যাবে।

ইন্টারনেট আমাদের জীবনযাত্রা সহজ করেছে। কিন্তু কতিপয় দুষ্কৃতিকারীর জন্য ইন্টারনেট আজ কলুষিত। কিভাবে দেশের দেশের আভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্ন করে দেশকে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করা যায় সেই চেষ্টায় তৎপর তারা।

তাই ইন্টারনেটে পাওয়া কোন তথ্য বিশ্বাস করার আগে একবার যাচাই করে নিন। কারণ দেশটা আমাদের, আর দেশকে ভালো রাখার দায়িত্বটাও আমাদের।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ