বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

নরেন্দ্র মোদি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, ধারেকাছে নেই বাইডেন–ট্রুডো

নরেন্দ্র মোদি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, ধারেকাছে নেই বাইডেন–ট্রুডো

বিশ্বের জনপ্রিয় নেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৭১ শতাংশ মোদিকেই সমর্থন করেন। একটি জরিপে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। জরিপটি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার মর্নিং কনসাল্ট নামের একটি সংস্থা। বিশ্বের ১৩ জন নেতার মধ্যে এই জরিপ করা হয়েছে। জরিপের পরই বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও মোদির পেছনে।

মোদি ৭১ শতাংশ সমর্থন নিয়ে শীর্ষে আছেন। তারপরই আছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদার। তাঁর প্রতি দেশের সমর্থন ৬৬ শতাংশ। তৃতীয়স্থানে থাকা ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির প্রতি দেশটির ৬০ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে। ৪৮ শতাংশ সমর্থন নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন জাপানের ফুমিও কিশিদা।

জরিপে অংশ নেওয়া ২১ শতাংশ মানুষ মোদিকে অপছন্দ করেন। ২০২০ সালের ২ মে করা এক জরিপে ৮৪ শতাংশের পছন্দের তালিকায় ছিলেন মোদি। সেই সময় ভারতসহ বিশ্বে করোনা মহামারির চরম রূপ দেখতে শুরু করেছিল। এর এক বছর পর ২০২১ সালের ৭ মে মোদির রেটিং কমে ৬৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল।

মোদির অনেক পেছনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জো বাইডেন ও কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর প্রতি দেশটির ৪৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন আছে। বাইডেন ষষ্ঠ এবং ট্রুডো সপ্তমে স্থানে রয়েছেন। দেশের মানুষের ২৬ শতাংশের সমর্থন জুটেছে করোনার মধ্য বড়দিনের পার্টি করা নিয়ে সমালোচনার মধ্য পড়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের রেটিং প্রথম বছরেই কমেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার সামলানো শুরু করেন তখন ৫০ শতাংশের সমর্থন ছিল। এর মধ্য গত বছরের আগস্টে তাঁর রেটিং কমেছে। এ সময় দেশটিতে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। জরিপে সমর্থন কমে যাওয়ার পেছনে এগুলোকে কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মর্নিং কনসাল্ট অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেটা সংগ্রহ করেছে। মর্নিং কনসাল্ট বলেছে, এ মাসের ১৩ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি দেশের নেতা অর্থাৎ সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান তাঁদের কাছে কতটা জনপ্রিয়, নাগরিকদের কাছে সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল।

বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে কথা বলে জরিপটি করা হয়েছে বলে দাবি ওই সংস্থার। আর গ্লোবাল লিডার এবং দেশের ট্রাজেক্টরি ডেটা তৈরি করা হয়েছে সাত দিনের গড় সমীক্ষার ওপর নির্ভর করে। এখানে ত্রুটির সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ থেকে ৩ শতাংশ প্লাস/ মাইনাস করে। আমেরিকায় স্যাম্পেল প্রায় ৪৫ হাজার হলেও অন্য দেশগুলোতে তার পরিমাণ ছিল ৩ থেকে ৫ হাজারের মধ্যে। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

শিরোনাম

দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারিন্যাপ এক্সপো-২০২৪ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রীবদলে গেল গাইবান্ধার ৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধন