সাঘাটায় শিল্পি বেগম সাধারণের হাত দিয়ে অসাধারণ কাজ
সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের দক্ষিন সাথালিয়া গ্রামের আমিন মিয়ার স্ত্রী শিল্পি বেগম সাধারণের হাত দিয়ে অসাধারণ কাজ করছেন। জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলায় এক নামে যাকে চেনেন, সে হলো কাটুন আপা শিল্পি।
পিএালয়ে টাকার অভাবে যিনি স্কুলের গন্ডি পার হতে পারেননি। স্কুলের বই-খাতা ফেলে যাকে যেতে হয়েছিল স্বামীর ঘড়ে। স্বামীর অসুস্থ্য হওয়ায় নিতে হয় সংসারের দায়িত্ব। ২০০৩ সালে নওগাঁ জেলায় বেড়াতে গিয়ে একটি নারির কাটুন তৈরি করা দেখে, তার মনে স্বপ্ন জাগে, সে যদি পারে আমি পারবোনা কেনো। বাড়িতে এসে শিল্পি শপিং নামে ব্যবসা দাড় করান।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পায়ে হেটে ঘুড়ে হোটেল, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ অগ্রিম অর্ডার নেন। প্রতিদিন বগুড়া গিয়ে করতোয়া পেপার হাউজ থেকে মালামাল নিয়ে সাথালিয়া নিজ বাড়িতে আসেন। রাত ২ টা পর্যন্ত হাতের কাজ করে সকালে তৈরি কাগজের কাটুন গুলো স্বামী- স্ত্রী মিলে ভ্যান গাড়ী যোগে দোকান গুলোতে রাত ৯টা পর্যন্ত দিয়ে আসেন। এভাবেই দিনে ৩ শ থেকে ৪ শ টাকা আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার। স্বপ্ন ছেলেকে ডাক্তার বানাবে, প্রথম ছেলে আসাদুজ্জামান রাজশাহী ইউনির্ভাসিটিতে অর্নাস (বাংলা) বিভাগে লেখা পড়া করছেন।
অপর ছেলে সোহানুর রহমান সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮র্ম শ্রেনিতে এবং কষ্ট করে মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছেন। যমুনা নদী ভাঙ্গনে জমি-জমা বিলিন হয়েছে। ৫ শতাংশ জমির উপর বসত ঘড় উঠিয়ে কোনোমতে বসবাস করছেন। এটুকই হয়তো নদী গিলে খাবে আতংকে দিন কাটে তাদের যমুনা নদী পাড়ে বাড়ী হওয়ায়। এ করোনায় লকডাউনে কিভাবে সংসার চলবে এটাই এখন দুঃচিন্তা তার।
এদিকে তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে লোন কিস্তি দিতে হিম শিম খাচ্ছেন। ছেলের লেখা পড়ার খরচ দিতে পারছেন না। শিল্পি বেগম বলেন, সরকার এবং বিত্তবান কেউ যদি আর্থিক সহযোগিতা করতো তাহলে আমি একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতাম। সেখানে নারিদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো।
দৈনিক গাইবান্ধা