শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত : ১১:৩১, ১৪ মে ২০২৪

গাইবান্ধায় প্রথম বছরে প্রজাপতি নামে চিকন জাতের ধান চাষে বাজিমাত

গাইবান্ধায় প্রথম বছরে প্রজাপতি নামে চিকন জাতের ধান চাষে বাজিমাত
সংগৃহীত

গাইবান্ধা  জেলার কৃষকেরা আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চাষ করছেন উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ধান। উফশী ধানের পাশাপাশি ফলন বেশি হওয়ায় হাইব্রিড ধানের চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। তবে উফশী ও হাইব্রিড ধানে ফলন বেশি হওয়ার ফলে দেশি জাতের ব্রি ২৮,২৯ ও ৫৮  স্থানীয় ধানের চাষ কমে এখন হাইব্রিডে ঝুঁকছে কৃষক।

ব্যাগরো কোম্পানি লিমিটেড বিগত ৭ বছর হলো হাইব্রিড ধান বীজ বাজার জাত করলেও এই প্রথম ভারত থেকে আমদানীকৃত প্রজাপতি (চিকন) নামে হাইব্রিড ধান চাষ করে বাজিমাত করেছেন কৃষক আমিনুল।  

স্থানীয় কৃষকদের সূত্রে জানা যায়, যেখানে দেশি জাতের ব্রি ধান ২৮  চাষ করে বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ পাওয়া যায় সেখানে উচ্চ ফলনশীল উফশী চিকন জাতের  ধান চাষ করলে বিঘা (৩৩ শতাংশ)প্রতি ২৮ থেকে ৩৩ মন এবং একর প্রতি পাওয়া যায় হাইব্রিড ৯০ থেকে ১০০ মণ পর্যন্ত । কৃষক আনারুল জানান, স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ী সাহার বাজারের দেওয়ান ট্রেডার্স এর প্রোপাইটর উজ্জ্বল এর কাছ থেকে ব্যাগরো কোম্পানির হাইব্রিড চিকন ধানের বীজ প্রজাপতি নিয়ে জমিতে লাগাই প্রথম থেকে চারা ও গাছের চেহারা দেখে মন জুড়িয়ে  যায়। এখন শীর্ষ প্রায় ১ ফুটের মতো। চিটাও কম দানাও পুষ্ট। আল্লাহর রহমতে ফলনও ভালোই হয়েছে।  তবে গোছা  ও শীষ দেখে আমি খুব খুশি। এক শতকে ৩২ কেজি ধান পেয়েছি ।

তাই যে জাতের ধান বেশি ফলন হবে সেই জাতের ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেশি হবে । কয়েক বছর আগেও আমরা দেশি স্থানীয় জাতের ধান চাষ করেছি। এখন দেশি ও হাইব্রিড  ধান চাষ করলে খরচ পড়ে একই। তবে ফলন আলাদা আলাদা। কৃষক উফশী জাতের দিকে ঝুঁকছে বলে জানান সাধারণ অন্যান্য কৃষকরা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন  এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় কৃষকেরা চলতি বোরো মৌসুমে দেশি জাতের স্থানীয় ধানের চাইতে সবচেয়ে বেশি উফশী ধানের আবাদ করছেন।আবহাওয়া ভালো হলেই কৃষক সুষ্ঠভাবে ঘরে ধান তুলতে পারবে বলে  জানান কৃষক আমজাদ ও উজ্জ্বল।  সারাদেশের কৃষকের মতো গাইবান্ধা, সাদুল্লাপুর উপজেলার কৃষকেরা উফশী ও হাইব্রিড ধান চাষে ফলনে ভালো পেয়েছে।

কৃষকেরা উফশী ও হাইব্রিড ধানে স্থানীয় ধানের চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি ফলন পাওয়ায় এসব ধান চাষ করছেন। আর স্থানীয় ধান চাষে  আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা

সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মৃত এনায়েত উদ্দিন ব্যাপারির ছেলে আনারুল  মিয়া বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা চাচারা দেশি ধান চাষ করতেন। তখন ফলন ছিল অনেক কম অবশ্য খরচও ছিল কম, কিন্তু এখন আর স্থানীয় ধান চাষ করে খরচ তোলা দায়।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জাতের তুলনায় হাইব্রিড ও উফশীতে ফলন অনেক ভালো হয়। দেশি জাতের ধানের তুলনায় ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি ফলন পাওয়া যায়। আমাদের এলাকার বেশিরভাগ কৃষক উফশী ধান চাষ করছেন।

ব্যাগরো কোম্পানি লিমিটেড এর হাইব্রিড ধান জাত ২ টি বাজারজাত করছে সুগন্ধা ও প্রজাপতি নামে। 
ধান গাছ মাঝারি উঁচু ও  ধান উজ্জ্বল বর্ণের।  চিটা কম ওজনে ভারি। বাজারে চাহিদা বেশি দামও বেশি।

উপস্থিত ছিলেন, রংপুর বিভাগের  ডিভিশন সেলস ম্যানেজার মো. আবু হাসানুল হুদা রাশেদ, দেওয়ান ট্রেডার্স এর উজ্জ্বল, কৃষক আনারুল, ডিলার,মিরাজ হাওলাদার, সুজন, আমজাদ, প্রমুখ।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ