শনিবার   ২১ জুন ২০২৫ || ৬ আষাঢ় ১৪৩২

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত : ১৩:১১, ১৯ মে ২০২৫

তাওয়াফের নির্দিষ্ট কোনো সময় আছে কি?

তাওয়াফের নির্দিষ্ট কোনো সময় আছে কি?
সংগৃহীত

হজ, ওমরার সময় তাওয়াফ করতে হয়। এ সময় তাওয়াফ করা ওয়াজিব। এর বাইরেও নফল তাওয়াফ করা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তারপর তারা যেন তাদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে এবং তাদের মানত পূর্ণ করে ও তাওয়াফ করে প্রাচীন গৃহের।’ (সূরা হজ, আয়াত : ২৯)

অপর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে তোমারা আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)

তাওয়াফের ফজিলত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বাইতুল্লাহর চারদিকে তাওয়াফ করা নামাজ আদায়ের অনুরূপ। তবে তোমরা এতে (তাওয়াফকালে) কথা বলতে পারো। সুতরাং তাওয়াফকালে যে ব্যক্তি কথা বলে সে যেন ভালো কথা বলে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬০)

আরেক হাদিসে  হজরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করল এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ল, তা একটি ক্রীতদাসকে দাসত্বমুক্ত করার সমতুল্য।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯৫৬)

তাওয়াফ করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। বরং যে কোনো সময় যে কোনো মুহূর্তে তাওয়াফ করা যাবে। তবে মাকরূহ সময় তথা, যে সময় নামাজ পড়া মাকরূহ, সে সময় যদি তাওয়াফ করা হয় তাহলে তাওয়াফের পরের দুই রাকাত নামাজ মাকরূহ সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর আদায় করতে হবে। 

হাদিস শরিফে এসেছে, ‘মিছওয়ার ইবনে মাখরামা (রা.) ফজরের পর একত্রে তিন তাওয়াফ করতেন এবং সূর্যোদয়ের পর প্রত্যেক তাওয়াফের জন্য দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা হাদিস : ১৩৪২২)

সূত্র: dhakapost

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ