বুধবার   ১৮ জুন ২০২৫ || ৩ আষাঢ় ১৪৩২

প্রকাশিত : ১৪:০৯, ৪ জানুয়ারি ২০২০

সুন্দরগঞ্জের হাজী দবীর উদ্দিন কিন্ডার গার্টেন: শতভাগ জিপিএ-৫

সুন্দরগঞ্জের হাজী দবীর উদ্দিন কিন্ডার গার্টেন: শতভাগ জিপিএ-৫

স্কুলজুড়ে চলছে উত্সবের প্রস্তুতি। শিক্ষার্থী সব শিশু-কিশোরের মুখ হাসিমাখা। একই সঙ্গে কিছুটা উদ্বেগও। কেননা ফল তখনো জানা হয়নি। অভিভাবকদের সঙ্গে ওদের অপেক্ষা স্কুলের পরিচালক আজাদুল করিম নিপুর আগমনের। অবশেষে বেলা এগারটায় এলেন তিনি। সগৌরবে ঘোষণা করলেন, বরাবরের মতো চলতি বছরেও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় সুন্দরগঞ্জের হাজী দবীর উদ্দিন কিন্ডার গার্টেন শতভাগ জিপিএ-৫ নিয়ে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে এবারও। সঙ্গে সঙ্গেই দ্রিম দ্রিম শব্দ উঠল ড্রামে। উল্লাসে ফেটে পড়ল শিক্ষার্থীরা।

গত ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পিইসি ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনার পরপরই উৎসবে মেতে ওঠে গাইবান্ধার ‍সুন্দরগঞ্জের হাজী দবীর উদ্দিন কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থীরা।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) গড় পাশের হার এবং জিপিএ-৫ সহ সবক্ষেত্রে সেরা ফলাফল করেছে হাজী দবীর উদ্দিন কিন্ডার গার্টেন। এবার এই প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাশসহ শতভাগ জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। হাজী দবীর উদ্দিন কিন্ডার গার্টেন সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।

জানা যায়, এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) সারাদেশে ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৫১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। তাদের মধ্যে ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৩ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জন।

অপরদিকে হাজী দবীর উদ্দিন কিন্ডার গার্টেন থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৭০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। ৭০ জন শিক্ষার্থীই জিপিএ-৫ অর্জন করে। অর্থাৎ শতভাগ জিপিএ-৫ সহ পাশ। এ যেন দেশসেরা ফলাফল।

প্রতিষ্ঠার বছর ২০০৪ সাল থেকেই প্রতিবছর এ ধরণের ফলাফল দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছরও এমনটাই হবে আত্মবিশ্বাস ছিলো তাদের। তাই ফলপরবর্তী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

এদিকে আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা থেকে সকালেই পৌঁছেন স্কুল ক্যাম্পাসে। ফলাফল প্রকাশ হওয়া মাত্র প্রতিষ্ঠানটিতে শুরু হয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উৎসব।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আজাদুল করিম নিপু জানান, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিত পরিশ্রম, আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকেরাও পরিশ্রম করেছেন। আর আমাদের সকলের পরিশ্রমকে সার্থক করেছে শিক্ষার্থীরা। আগামীতেও এই সাফল্য ধরে রাখতে কাজ করে যাবেন বলে জানান আজাদুল করিম নিপু।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ