জীবনের গল্পে মাননীয় ডেপুটি স্পিকার
দৈনিক গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মানুষটা বড্ড সাধাসিধে। প্রাণ খুলে যেমন হাসেন তেমনি কথাও বলেন বেশ আন্তরিকভাবে। আড়ম্বরহীন এক অন্যরকম জীবন তার। সারাক্ষণ ডুবে থাকেন কাজে। তবে নিজের জন্য এখন আর কিছুই করেন না। মানুষের জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছেন তিনি। মানুষটির নাম অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার। ১৯৪৬ সালে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্ম তার।
সেখানেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে যুক্ত ছিলেন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজে। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, পরবর্তীতে জড়িয়েছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি একবার হুইপ এবং ১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্ণাঢ্য কর্মময় এ মানুষটি ছেলেবেলা, বেড়ে ওঠা আর রাজনীতির বাইরের গল্প।
জাতীয় সংসদের নিজ বাসভবনে কার্যালয়ে ব্যস্ত ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১০ টা। ডেপুটি স্পিকারের ব্যস্ততা কমে না। ওদিকে ঘনিয়ে আসছে আমাদের যাবার সময় জীবনের গল্প বলবেন কখন? সময় স্বল্পতা আঁচ করতে পেরেই ঝটপট স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসলেন। নিজের রঙিন অতীত বলতে গিয়ে কখনো হাসলেন, আবার কখনও আবেগপ্রবণ হয়ে আর্দ্র চোখ আড়াল করলেন এ পার্লামেন্টারিয়ান।
ছেলেবেলায় বড্ড দুরন্ত ছিলেন ফজলে রাব্বী মিয়া। তবে পড়াশোনায় পিছিয়ে ছিলেন না একটুও। ক্লাস ফাঁকি না দিলেও বড়দের চোখ ফাঁকি দিয়ে মানুষের গাছের আম ‘চুরি’ করে খাওয়া মিস হতো না তার। এজন্য বকাঝকাও কম শোনেননি। কিন্তু কে থামায় কাকে? বকা খেয়ে দুরন্তপনা যেনো আরও গতি পায়।
নিজের এমন গল্প শোনাতে গিয়ে হাসি থামাতে পারছিলেন না ডেপুটি স্পিকার। ছেলেবেলাতেই যেনো ফিরে গেছেন তিনি। হাসতে হাসতে বললেন, ‘আমাদের বাড়িতে সবাই এক কাচারি ঘরে থেকে লেখাপড়া করতাম। বাড়ির মাঝখানে এক শরিকের গাছে মিষ্টি আম ধরতো। আমাদেরকে তিনি কোনোদিন আম খেতে দিতেন না। কিন্তু আমরা পণ করেছি তাকেই তার আম খেতে দেবো না। যেই ভাবা সেই কাজ। একজন গাছে চড়তো আর বাকি কয়েকজন মিলে নিচে চাদর খুলে তার চারকোণা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতাম। সে চাদরে আম পড়তো। কেউ টের পেতো না। এভাবেই তার গাছের সব আম আমরা সাবাড় করে দিয়েছি।’
ফজলে রাব্বী মিয়া যখন হাইস্কুলে, তখন স্কুলের সব আয়োজনে পাওয়া যেতো তাকে। কবিতা, নাটক, বিতর্ক আর উপস্থিত বক্তৃতার মঞ্চ দখলে ছিলো তার। এজন্য স্কুলে বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি এইসব কাজে পটু ছিলেন খুব। একবার তো নাটকের রিহার্সেল শেষে মধ্যরাতে বাড়িতে ফিরে পড়েছেন বড্ড বিপদে। সে গল্প শোনাতে গিয়ে বলেন, ‘আমার ডাকনাম ছিলো ভেলু। আমরা ছেলেরা থাকতাম বাড়ির কাচারি ঘরে। সে ঘরের দরজায় সবসময় একটা দড়ি ঝুলিয়ে রাখতাম। যেটা টান দিলেই বন্ধ দরজা খুলে যেতো। কিন্তু সেদিন রাত দুইটায় রিহার্সেল শেষে ফিরে দেখি কাচারি ঘরে তালা দেয়া। তালার ওপরে আবার লেখা ‘ভেলু ও পেয়ারার খাবার লাকির মায়ের ঘরি রহিল, ডাকিলেই পাইবা।’ বুঝতে পেরেছি এটা দাদার কাজ। বেশ চিন্তিত হয়ে গেলাম। রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত জল্পনা কল্পনা করলাম। শীতের রাত ছিলো বলে পাটখড়িতে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে গিয়ে ঘটালাম আরেক বিপত্তি। পাশের আম গাছে লেগে গেছে সে আগুন। এরমধ্যেই দাদা টের পেয়ে গেলেন। আর তো শুরু হলো বকা।’ বলেই বালখিল্য হাসি হাসতে লাগলেন তিনি। হাসিতে স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যেন ছেলেবেলার মুহুর্তগুলো।
‘ছেলেবেলায় আর কী কী করতেন’ এমন প্রশ্ন করার আগেই উত্তর বেরুতে লাগলো, ‘কী করিনি। সবই করেছি। বড় পুকুরে সাঁতার কাটা, খেলার মাঠ মাতিয়ে রাখা আর হৈ হল্লুড়, সবই করেছি। আমাদের একটা গাভী ছিলো। সে গাভী মাঠে চরানো ছিলো রুটিনওয়ার্ক। স্কুল জীবনে কোনদিন আমাদের দুধ কিনে খেতে হয়নি।’
খানিকটা থেমে আবার বললেন, ‘তবে আমরা যা-ই করেছি, কোনদিন ক্লাসে অনুপস্থিত ছিলাম না। সেজন্য শিক্ষকদের খুব প্রিয় ছিলাম। সে সময় আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন, ড. জাহিদুল হক, শামসুল হক, আম্রিকা চরণ দাস, তালেবার রহমান, মনিন্দ্র নাথ দাস। আমরা কোনোদিন কোনো পরীক্ষায় ফেল করিনি।
নিজের স্কুল বন্ধুদের মনে পড়তেই খানিকটা আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলেন ডেপুটি স্পিকার।
‘প্রেম করেছেন কী না’ এমন প্রশ্নে আবারও হাসির ঢেউ তুললেন। উত্তরে সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন, ‘আমার সঙ্গে কেউ প্রেম করার সাহস করতো না। কখনোই আমি কাউকে সে সুযোগ দেইনি। তবে শুনেছি কেউ কেউ আমার প্রতি খুব আগ্রহী ছিলো। বড় হয়ে যখন বিয়ের সময় এলো, তখনও আব্বা যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছেন তাকেই বিয়ে করেছি।’
‘রাজনীতিতে জড়িয়েছেন কীভাবে’- জানতে চাইলে ফজলে রাব্বী মিয়া বললেন, ‘১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান যখন মার্শাল ল জারি করে তখন আমি অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তখন আমার এক চাচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। পরবর্তীতে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানও হয়েছেন। তার অনুপ্রেরণায় আইয়ুব বিরোধী মিছিল বের করি। সেটাতে আমি নেতৃত্ব দেই। সে মিছিলে পুলিশের দাবাড়ও খেয়েছি। তবে আমাদের বাড়ির বেশ ঐতিহ্য ছিলো বলে পুলিশ বাড়ির ভেতরে গিয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করার সাহস পেতো না। সে-ই থেকে রাজনীতি শুরু, নেমে পড়লাম রাজনীতিতে।’
কলেজ জীবনের রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কলেজ লাইফে এসে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন হয়েছে। সে আন্দোলনে গাইবান্ধায় নেতৃত্ব দিয়েছি আমি, হাসান মাহমুদ সিদ্দিক ও ভুলু। পুরো মহকুমার বিভিন্ন স্থানে আমরা সমাবেশ করতাম। আমার মনে আছে, সে সময় আমার বক্তব্য শোনার জন্য মানুষ হারিকেন নিয়ে আসতো

- প্রান্তিক মানুষকে স্বাবলম্বী করতে চান প্রধানমন্ত্রী
- সুন্দরগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন
- পলাশবাড়ীতে মৎস্যজীবী লীগের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
- রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উদ্বেগ জানিয়ে ভারতকে বাংলাদেশের চিঠি
- আমদানির বিকল্প ফসলে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন কৃষক
- কম ক্ষতিগ্রস্ত মুদ্রার তালিকায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে
- আফগানিস্তানের জন্য বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা
- রেমিট্যান্সে আবার সেই উল্লম্ফন, বাড়ছে রিজার্ভ
- আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে থাকতে পারে সিসি ক্যামেরা
- পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে দুদক এফবিআই যৌথ তদন্ত দল হবে
- কালোবাজারি চলবে না ॥ তালিকা নিয়ে মাঠে নামছে রেল পুলিশ
- ভবিষ্যৎ মহামারী মোকাবেলায় কাজ করতে হবে এক সঙ্গে: প্রধানমন্ত্রী
- খাদ্যসংকট দূর করতে যা মেনে চলতে বলেছেন নবীজি
- এই সময়ে জ্বর ও কাশি থেকে বাঁচতে যা করবেন
- ১১ বছর পর লিগ শিরোপা ঘরে তুলল মিলান
- বাংলায় ভয়েস-টু-টেক্সট ফিচার চালু করল ইমো
- আট বছরে ৪৭ সন্তানের বাবা হলেন এই যুবক!
- আফগানিস্তানকে এক কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ
- অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের ওয়েব চেক-ইন শুরু ১ জুন
- কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল অংশের অগ্রগতি ৮৩.১৫ শতাংশ
- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ভূমি সেবা সপ্তাহ পালিত
- পলাশবাড়ীতে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শনে নির্বাচন কর্মকর্তা
- সাঘাটায় ভূমিসেবা সপ্তাহ পালিত
- ফুলছড়িতে সমন্বিত পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক চুক্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে কাজ করছি : প্রতিমন্ত্রী
- সাদুল্লাপুরে ছিনতাই হওয়া ধান ভর্তি ট্রাক উদ্ধার
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ
- রিজার্ভ আবার ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
- বাংলাদেশেই সবচেয়ে কম বেড়েছে ডলারের মূল্য
- আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গোবিন্দগঞ্জে পটলের বাম্পার ফলন
- গাইবান্ধার চরাঞ্চলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ‘চরের জাহাজ ঘোড়ার গাড়ি
- কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঘোড়ার গাড়ী
- কৃত্রিমভাবে পাকানো আম চেনার ৫ উপায়
- গাইবান্ধার ২৩ কেন্দ্রে ২য়ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা দিলেন ৪,৫৮০ জন
- ঘাঘট ব্রিজে বিনোদন প্রেমীদের ভিড়
- মাকে বিশেষভাবে ভালোবাসার দিন আজ
- জেলের জালে মৌসুমের সবচেয়ে বড় দুই রাজা ইলিশ
- আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচে সর্বাধিক আবেদন
- গাইবান্ধার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অনন্য দৃষ্টান্ত
- গাইবান্ধায় বিশ্ব মা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এমপি মনোয়ার হোসেন
- অসুস্থদের আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন স্মৃতি এমপি
- আধুনিকায়নে যাত্রীসুবিধা বাড়বে সাঘাটার বোনারপাড়া স্টেশনে
- কান্নাভেজা চোখে জুভেন্টাসকে বিদায় জানালেন দিবালা
- আগামী জুনের শেষেই খুলবে পদ্মা সেতু : সেতুমন্ত্রী
- প্রতিবেশী দেশগুলোতে বাড়ছে করোনা, সচেতন থাকার আহ্বান
- যে কারণে হয় শ্বেতী রোগ, প্রতিকার কী?
- ঈদ স্পেশাল ঝরঝরে ‘জর্দা সেমাই’
- গাইবান্ধায় অপসংস্কৃতির অভিযোগে ৫০টি পিকআপ/ট্রাক আটক
- ঈদের পর গাইবান্ধা মাতাবেন জেমস
