মঙ্গলবার   ১৭ জুন ২০২৫ || ৪ আষাঢ় ১৪৩২

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত : ১৩:০৮, ৮ জুলাই ২০২৪

প্রতিদিনের যেসব অভ্যাস কিডনি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়

প্রতিদিনের যেসব অভ্যাস কিডনি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়
সংগৃহীত

শরীর সুস্থ রাখার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল, কিডনি। এটা আদতে ছাঁকনির কাজ করে এবং দেহের বর্জ্য সময়মতো শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। ফলে কিডনি বিকল হলে শরীরও অচল হয়ে পড়বে। আমাদের কিছু অভ্যাস কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। নিয়মিত বাইরের খাবার খাওয়া, পানি কম খেলে, তেল-মশলাজাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাসের ফলে কিডনি খারাপ হতে থাকে। দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে কিডনি ভালো না রাখলে চলবে না। কিডনির ভালোমন্দের উপর নির্ভর করে সার্বিক সুস্থতা। কিডনি ভালো রাখতে নিজেকে যেমন কিছু নিয়মে বাঁধতে হবে। কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই আলাদা করে নিজের যত্ন নেওয়ার সুযোগ পান না। আর তাতেই বাড়ে বিপত্তি। 

জেনে নিন, কোন কোন অভ্যাস থেকে দূরে থাকলেই ভালো থাকবে আপনার কিডনি-

১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান। সাধারণত যে কোনও সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। তাই শরীরের প্রয়োজন কতটুকু, সেই পরামর্শ নিয়ে রাখুন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। সেই অনুপাতে পানি খান। শরীরে কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে পানি খাওয়ার বিষয় নিয়ন্ত্রণ আনা জরুরি। সেক্ষেত্রে পানি বেশি খেলে কিন্তু কিডনির সমস্যা বাড়তে পারে।

২. কিডনিতে সংক্রমণের অন্যতম কারণ হল প্রস্রাব চেপে রাখা। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময়ে বাড়িতে থাকলেও কাজের চাপের জন্য অনেকে প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এই অভ্যাসের কারণে মূত্রনালিতে চাপ পড়ে, তাতেই ক্ষতি হয় কিডনির। বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখার ফলে কিডনির শারীরবৃত্তীয় কাজ সারতে সমস্যা হয় ও দীর্ঘসময় টক্সিন ধরে রাখায় শরীরে সংক্রমণ ঘটে।

৩. উচ্চমাত্রায় ডায়াবিটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। তাই সব সময়ে চেষ্টা করুন ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। কিডনি ভালো রাখতে ডায়াবিটিস প্রতিরোধ প্রয়োজন। এর জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটাহাঁটি, শরীরচর্চা আর খাবারে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি।

৪. মুঠো মুঠো ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ঔষধ কিন্তু কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনোভাবেই অ্যান্টিবায়োটিক বা বেদনানাশক ওষুধধ খাওয়া উচিত নয়।

৫. ওজন বেশি হয়ে গেলেও কিন্তু কিডনির উপর চাপ পড়ে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কিন্তু ভীষণ জরুরি। রোজ ডায়েট ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার অভ্যাস শুরু করতে হবে। তথ্যসূত্র-আনন্দবাজার

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ