মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ || ১ আশ্বিন ১৪৩১

প্রকাশিত : ০৭:১১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ক্যান্সার চিকিৎসায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা খরচ

ক্যান্সার চিকিৎসায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা খরচ

বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে দেড় লক্ষাধিক মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় হলে বিশেষজ্ঞরা সার্জারির পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সার্জারির খরচ শরীরের অঙ্গভেদে ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষাধিক টাকা খরচ বহন করতে হয়। 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ক্যান্সার চিকিৎসায় ধরণভেদে সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, হরমোনথেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপি প্রয়োগ করা হয়। ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যয় শুরু হয় রোগ নির্ণয় থেকে। রোগ শনাক্ত এবং বিস্তার বোঝার জন্য সিটি স্ক্যান, এম আর আই, পেট সিটি স্ক্যান, বায়প্সিই, হিস্টোপ্যাথলজি, ইমিউওনোহিস্টোকেমিস্ট্রি পরীক্ষাগুলো বেশ ব্যয়বহুল। 

এ পরীক্ষাগুলো পরবর্তিতে চিকিৎসা চলাকালীন এবং চিকিৎসা শেষে ফলো আপে পুনরায় করতে হয়। সব ধরনের পরীক্ষা একই হাসপাতালে না হওয়ায় অনেক সময় বাসস্থান থেকে অন্যস্থান যাওয়ার জন্য মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

ক্যান্সার রোগীদের খরচের প্রধান অংশ হল কেমোথেরাপি। কেমোথেরাপি প্রতি ২/৩ সপ্তাহ পরপর হয় এবং প্রতিটি সাইকেল থেরাপিতে গড়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। সাধারণত ৬ থেকে ১২ সাইকেল পর্যন্ত রোগীদের কেমোথেরাপি গ্রহণ করতে হয়। ক্যান্সার চিকিৎসার সর্বাধুনিক আবিষ্কার ইমুনোথেরাপি যা প্রতিটি সাইকেলে ২ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

সবমিলিয়ে চিকিৎসার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গড়ে ৯-১০ লাখ টাকা (সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা- জরায়ুমুখ ক্যান্সার এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা কোলন ক্যান্সার) একটি পরিবার খরচ করে। 

তবে সরকারি হাসপাতাল এবং রোগের বিস্তার কম হলে খরচ অনেক কম হয়। এ খরচের হিসাব আমাদের দেশীয় সমীক্ষা অনুযায়ী রোগীদের একটা বিরাট অংশ প্রতিবছর দেশের বাইরে চিকিৎসা গ্রহণ করে। দেশের চিকিৎসকদের ওপর আস্থার অভাব এবং দালালের প্ররোচনায় অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবার দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। 

 

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ