খয়ের এর প্রাকৃতিক গুণাগুণ
খয়ের আমাদের কাছে রঞ্জক হিসেবে পরিচিত হলেও এই অঞ্চলের ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবেও এর অনেক খ্যাতি। বাংলাদেশ জাতীয় আয়ুর্বেদিক ফর্মুলারি ১৯৯২ অনুসারে ২৫টি ঔষধে খয়ের ব্যবহারের উল্লেখ দেখা যায়।
খয়ের (অপধপরধ পধঃবপযঁ) দেশের রাজশাহী এবং পাবনা জেলায় জন্মে। ঢাকায় মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনেও আছে। প্রচলিত অন্যান্য নাম খয়ের বাবুল এবং কস্ফাথ। মাঝারি আকারের পাতা ঝরা গাছ। সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ মিটার উঁচু হতে পারে, শাখাবহুল ও কাঁটাযুক্ত। পাতা যৌগিক এবং পত্রখণ্ড ক্ষুদ্র। পত্রকোণে মঞ্জরি হয়। ফল সাদাটে, শিমের মতো চ্যাপ্টা। মার্চ মাসে ফুল হয়। কাঠ কাজে লাগে। এ গাছ থেকে খয়ের উৎপন্ন হয়। বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। বীজ থেকে চারা। উপ-হিমালয় অঞ্চল পাঞ্জাব থেকে সিকিম, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, মিয়ানমার ও দক্ষিণ চীনে সহজলভ্য। গাছটি এখনও বিপন্ন নয়।
উপকারিতা :
এক গ্রাম খয়ের চূর্ণ্ ব্যবহারে প্রাপ্তবয়স্কদের আমাশয় রোগের উপকার হয়ে থাকে।
খয়ের দাতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে থাকে।
খয়ের জ্বরনাশক হিসেবে ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়। জ্বরের ক্ষেত্রে এটি একটি মহাঔষধি এর কাজ করে থাকে।
আলজিভ বৃদ্ধিজনিত কাশিতে এক টুকরো খয়ের মুখে রেখে চুষলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।
পুরোনো ক্ষত এবং সিফিলিসের প্রাথমিক ক্ষতে এর চূর্ণ্ ব্যবহারে উপকার হয়।
পরিমাণ মত খয়ের ব্যবহারে শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
খয়ের গাছের সারকাঠ এবং সার কাঠের নির্যাসই মূলত বাণ্যিজ্যিকভাবে খয়ের বা কস্ফাথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দৈনিক গাইবান্ধা