কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গান ‘দেওরা’

কোক স্টুডিও বাংলায় প্রকাশ পেয়েছে নতুন গান ‘দেওরা’। রোববার (৭ মে) সন্ধ্যায় কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে গানটি। নৌকা বাইচে ‘হাত ছেড়ে দাও সোনার দেওরা রে’ গানের তালে বইঠা ঠেলেন মাঝিমাল্লারা। নৌকা বাইচের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে জনপ্রিয় এ সারি গানটি।
গানটিই নতুন আয়োজনে নিয়ে এসেছেন প্রীতম হাসান এবং লোকসঙ্গীত শিল্পী ইসলামউদ্দিন পালাকার। গানটিতে আরো আছেন আরমীন মুসা এবং তার কয়্যার ‘ঘাসফড়িং’।
গানটিতে ‘সারি গান,’ ‘জাগ গান’-এর মতো লোকসঙ্গীতের বিভিন্ন ধারা ব্যবহার করা হয়েছে। ‘সারি গান’ সাধারণত শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে যুক্ত, আর ‘জাগ গান’ পরিচিত এর অনুপ্রেরণামূলক কথার জন্য। গানটিতে ফজলু মাঝি (ফজলুল হক) এবং প্রীতম হাসানের লেখা কথায় মাঝিদের আবেগ ফুটে উঠেছে।
গানটি প্রযোজনা করেছেন প্রীতম এবং গানের মূল শিল্পীদের একজন। গানের শুরুর লাইনগুলোতে সঙ্গীতের ব্যাপারে তার নিজস্ব ও অনন্য চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন এ শিল্পী।
গানটি সম্পর্কে প্রীতম বলেন, আমার পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে আমি গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি, যা দর্শক-শ্রোতাদের কল্পনাকে জাগিয়ে তুলতে পারবে। কোক স্টুডিও বাংলা আমাকে আরও নতুন ধরনের কিছু করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। দেওরা এমন একটি গান যার সঙ্গে সবাই নিশ্চিতভাবে গলা মেলাবেন। এ গান সবার মধ্যে সঙ্গীতের ম্যাজিক জাগিয়ে তুলবে বলে আমার বিশ্বাস।
আরমীন মুসা বলেন, দেওরাতে কাজ করা একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল। বেশ কয়েকজন শিল্পী ও কয়্যার মিলে একসঙ্গে কাজ করলে ম্যাজিক্যাল কিছুর সৃষ্টি হয়। ইসলামউদ্দিন পালাকারের অনবদ্য পারফরম্যান্সের ফলে গানটি হয়ে উঠেছে আরো প্রাণবন্ত।
তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি পালাগান চর্চা ও পারফর্ম করে আসছি। আমি এ শিল্পকে ভালোবেসেছি, এর জন্যই আমার জীবনকে উৎসর্গ করেছি। কোক স্টুডিও বাংলা-র প্ল্যাটফর্মে এ শিল্পটিকে তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। আশা করি, তরুণ প্রজন্ম এই ফিউশন পছন্দ করবে এবং বাংলা গানের এই ধারাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহিত হবে।
দৈনিক গাইবান্ধা