সোমবার   ২৩ জুন ২০২৫ || ৮ আষাঢ় ১৪৩২

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত : ১১:০২, ২৩ জুন ২০২৫

১৫০ উপজেলায় প্রাথমিক স্কুলে খাবার পাবে শিশুরা, শুরু হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ

১৫০ উপজেলায় প্রাথমিক স্কুলে খাবার পাবে শিশুরা, শুরু হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ
সংগৃহীত

দেশের ৮টি বিভাগের ৬২টি জেলার নির্বাচিত ১৫০টি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চালু হতে যাচ্ছে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’। এই প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

রোববার (২২ জুন) প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদের সই করা এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।  এতে বলা হয়, ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়নের আওতায় থাকা সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্ধারিত ছকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে হালনাগাদ তথ্য পাঠাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে (কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা ব্যতীত)।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নির্ধারিত ছকে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের তথ্য পূরণ করে ই-মেইলে (infogpsfp@dpe.gov.bd) পিডিএফ কপি ও সফট কপি (এমএস এক্সেল ফরম্যাটে, নিকোশবেন ফন্টে) এবং হার্ড কপি পাঠাতে হবে।

১৫০টি উপজেলায় হবে প্রকল্প বাস্তবায়ন

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে। দেশের ৮টি বিভাগের ৬২টি জেলার ১৫০টি উপজেলাকে এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। তবে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা এ প্রকল্পের বাইরে থাকছে।

এছাড়া, এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে দায়িত্বশীলভাবে তথ্য প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে। তথ্য প্রেরণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন প্রকল্প পরিচালক, উপ-প্রকল্প পরিচালক ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক।

প্রসঙ্গত, স্কুল ফিডিং কর্মসূচি দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক উদ্যোগ, যার মূল লক্ষ্য বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতি ও শিক্ষায় মনোযোগ বাড়ানো। এই কর্মসূচির আওতায় নির্দিষ্ট স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়, যা বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের শিশুদের জন্য সহায়ক। এতে শিশুরা অপুষ্টির ঝুঁকি থেকে কিছুটা মুক্ত থাকে এবং স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত হয়। পাশাপাশি, অভিভাবকদের মধ্যে বিদ্যালয়ে সন্তান পাঠানোর আগ্রহও বাড়ে।

সূত্র: ঢাকা পোষ্ট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ