শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১০:৫১, ২৭ মে ২০২৩

আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা

আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নামতে শুরু করেছে গাছপাকা আম। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আম বাজারজাত হওয়া শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, আবহাওয়ার কারণে দেশের অন্যান্য স্থানের আম বাজারে এলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম দেরিতে বাজারজাত শুরু হয়েছে।

বর্তমানে গুটি ও গোপালভোগ আম কিছুটা নামলেও পুরোপুরি বাজারে পাওয়া যাবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই। এদিকে গত দুই বছরের মতো এবারও গাছ থেকে আম নামানোর সময়সীমা নির্ধারণ করেনি জেলা প্রশাসন। ফলে পরিপক্ব আম পাবেন ক্রেতারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে ৬০ লাখ গাছে আম আবাদ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

প্রতি কেজি আম ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলে জেলায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর জেলায় ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। তবে এবার আম বাণিজ্যে গত বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা বৃদ্ধির আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এ বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকা আম বাণিজ্যের আশা করছেন তারা। আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকদের সরলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফড়িয়ারা আমের ওজন বেশি নিয়ে থাকেন। ফলে আমবাগান মালিকরা বাজারে ওজন নিয়ে ব্যাপক বিড়ম্বনায় পড়েন। ৪৫-৫২ কেজিতে এক মণ ধরেন ব্যবসায়ীরা।

ইতোমধ্যে জেলার বৃহৎ আমের মোকাম কানসাট, ভোলাহাট, রহনপুর ও সদরের পুরাতন তহাবাজারে প্রস্তুত করে ফেলেছেন আমের আড়ত, আবার কেউ আমের টুকরি, সুতলি, পেপারসহ খড় (ঘাস) মজুদ করছেন। এই আম নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ আগামী ৩-৪ মাস ব্যস্ত সময় পার করবেন। আম ব্যবসায়ীদের মতে, প্রথমে আসবে গোপালভোগ, তারপর গুটি থেকে ক্ষীরসাপাতি এবং সবশেষে আসবে আশ্বিনা আম। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, চলতি বছর আমের জন্য অন ইয়ার বা বেশি ফলনের বছর। এবার বাগানের ৯০ ভাগ গাছে আমের মুকুল এসেছিল, আমের ফলনও ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আমের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি কেজি আম ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলে জেলায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

শিরোনাম

দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারিন্যাপ এক্সপো-২০২৪ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রীবদলে গেল গাইবান্ধার ৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধন