শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত : ০৬:৩৯, ৩০ মার্চ ২০২৪

নারীদের ইতেকাফের বিধান

ইতেকাফ কী? গুরুত্ব ও ফজিলত (পর্ব-২)

ইতেকাফ কী? গুরুত্ব ও ফজিলত (পর্ব-২)
সংগৃহীত

ইতেকাফ (الإعتكاف) একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তাই লোক দেখানো এবং দুনিয়াবী স্বার্থ পরিহার করে, শুধু মাত্র মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইতেকাফ করতে হবে।

ইতেকাফ মানুষকে দুনিয়াবী ব্যস্ততা পরিহার করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর ইবাদতে মগ্ন হওয়া শিক্ষা দেয় এবং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক জুড়ে দেয়। এতে আল্লাহর প্রতি মহববত বৃদ্ধি পায়।

ইতেকাফের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার বান্দার গুনাহ মাফ করিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ কিছু সুযোগ দিয়েছেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এ মাসের শেষ দশকের বরকতময় রজনী ‘লায়লাতুল কদর’ (ليلة القدر) যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সেই রজনী পাবার জন্য ইতেকাফ এক বিশেষ ব্যবস্থা।

নারীদের ইতেকাফের বিধান

নারীদের জন্য ইতেকাফ করা শরিয়াত সম্মত। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর স্ত্রী আয়েশা (রা.) বলেন,

أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ أَنْ يَعْتَكِفَ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ، فَاسْتَأْذَنَتْهُ عَائِشَةُ فَأَذِنَ لَهَا،  

অর্থ: ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের শেষ দশদিন ইতেকাফ করবেন বলে উল্লেখ করলেন। তখন আয়েশা (রা.) তার কাছে ইতেকাফের অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি দিলেন’।  (বুখারি হা/২০৪১-৪৫)

আয়েশা (রা.) তিনি আরো বলেন,

اَنَّ النَّبِيَ النَّبِىُ صَلَّى اللهُ علَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَعْتَكِفُ العَشْرَ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللهُ، ثٌمَّ اِعْتكَفَ اَزْوَاجُهُ مِنْ بَعْدِهِ

অর্থ: ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) মৃত্য পর্যন্ত রমজান মাসের শেষ দশদিন ইতেকাফ করেছেন। অতঃপর তার স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন’।  (বুখারি হা/২০২৬; মুসলিম হা/১১৭২) অতএব, নিরাপদ পরিবেশ ও পৃথক ব্যবস্থাপনা থাকলে নারীরাও ইতিকাফ করতে পারবে।

ইতেকাফ করার ক্ষেত্রে নারীদের জন্য শর্ত

(ক) স্বামীর অনুমতি: স্বামীর অনুমতি ব্যতীত নারীরা ইতেকাফ করতে পারবে না। যেমন আয়েশা (রা.) ইতেকাফের জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করছিলেন। তদ্রূপ হাফসাহ ও যায়নাব (রা.)-ও অনুমতি চেয়েছিলেন। (বুখারি হা/২০৩৩, ২০৪১-৪৫; মুসলিম হা/১১৭২-৭৩)

(খ) ফিৎনার আশংকা না থাকা: নারীর জন্য ইতেকাফ করা বৈধ হবে না, যদি তার ব্যাপারে কোনো আশংকা কিংবা তার কারণে অন্য কোনো পুরুষ ফিৎনায় পড়ার আশংকা থাকে। সব ধরনের ফিৎনা থেকে নিরাপদ হলে নারীদের ইতেকাফ করা বৈধ হবে। (সহিহ ফিকহুস্ সুন্নাহ পৃঃ ১৫২)

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ