মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ || ১ আশ্বিন ১৪৩১

প্রকাশিত : ১১:১০, ১১ মার্চ ২০২৪

মরুভূমির দুম্বা এখন দেখা যাচ্ছে গাইবান্ধায়

মরুভূমির দুম্বা এখন দেখা যাচ্ছে গাইবান্ধায়
সংগৃহীত

শখের বসে ২টি দুম্বা ক্রয় করে লালন-পালন শুরু করেন এসকেএস রিসোর্স সেন্টার কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে এখন ৬টি দুম্বা শোভা পাচ্ছে রিসোর্স সেন্টারের মাঠজুড়ে। দুম্বা দেখতে অনেকেই সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীস্থ এসকেএস রিসোর্স সেন্টারে ভিড় করছে। যে দুম্বা মরুভূমিতে দেখা মিলতো, এখন তা গাইবান্ধার এসকেএস রিসোর্স সেন্টারে দেখা যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সাঘাটা উপজেলার হাট ভরতখালী সংলগ্ন রিসোর্স সেন্টারটি। এখানে দেশি জাতের গরু-ছাগলের পাশাপাশি মরুর দেশের দুম্বা পালন করছেন কর্তৃপক্ষ। 

এসকেএস রিসোর্স সেন্টার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে দুটি দুম্বা এনে লালন-পালন শুরু করা হয়। মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে ছোট-বড় মিলিয়ে দুম্বার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬টি। ভিন্নধর্মী এই পশুর খামার দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেক মানুষ। ইতোমধ্যে খামারে জন্ম নেওয়া দুটি দুম্বা বিক্রির উপযোগী হয়েছে। দুম্বাগুলো ভুসি ও কাঁচা ঘাস খায়। রোগ-বালাই নেই বললেই চলে। দুম্বা বছরে দু’টি করে বাচ্চা দেয়। তিন মাসের একটি বাচ্চার ওজন ১২/১৫ কেজি পর্যন্ত হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ লাখ টাকা। একটি পুরুষ দুম্বার ওজন ৮০ থেকে ১০০ কেজি হয়ে থাকে। আর প্রাপ্ত বয়স্ক দুম্বার মূল্য ১ লাখ ৭০-২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও দুম্বা পালনে খরচ খুব কম। দুম্বাকে দিনে চার বার খাবার দিলেও দুই বেলা ভারি দানাদার খাবার দিতে হয়। দুই বেলা কাঁচা ঘাস দিতে হয়। দানাদার খাবার ১০০০ গ্রাম করে খায় এক একটি দুম্বা। দানাদার খাবার যেমন গমের ভুসি, ভুট্টা ভাঙা, সোয়াবিন, খৈল, ডিসিপি, লবণ ইত্যাদি দুম্বার প্রিয় খাবার। 

দর্শনার্থীরা বলেছেন, আমরা আগে সরাসরি দুম্বা দেখিনি। এ অঞ্চলে কেউ দুম্বা পালন করে না। এসকেএস ভিন্নধর্মী এই পশু পালন শুরু করেছেন। দুম্বা দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে। আমাদের ভালোই লাগে।

এসকেএস রিসোর্স সেন্টারের ম্যানেজার মিজানুর রহমান মিজান জানান, মরুর প্রাণি যে আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে, তা কখনো ভাবিনি। দুম্বার পাশাপাশি খামারে আছে দেশি গরু ও উন্নত জাতের ছাগল। শখের খামারটি এখন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করতে চাচ্ছি। খামার থেকে এখন পর্যন্ত কোনো লাভ করিনি। দুম্বার খামারটি বড় করার ইচ্ছা আছে। ভবিষ্যতে খামারে বাণিজ্যিকভাবে দুম্বা পালন করতে পারলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ মাহ্ফুজার রহমান বলেন, এসকেএস রিসোর্স সেন্টারে দুম্বা পালন করা হচ্ছে এজন্য তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। বিশ্বব্যাপী দুম্বার মাংস ও চামড়ার চাহিদা অনেক। আমাদের দেশেও দুম্বা পালন করতে আগ্রহী হচ্ছেন খামারিরা। নতুন উদ্যোক্তা ও খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ