শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রকাশিত : ১৭:৪৬, ৩ মার্চ ২০২৪

গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী

গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী
সংগৃহীত

সবুজ গাছের ডগায় হলুদ সূর্যমুখী ফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে। মাঠ জূড়ে সূর্যমুখীর হলদে আভায় বিমোহিত দর্শনার্থীরাও। সৌন্দর্যের এই সূর্যমুখী ফুলেই রয়েছে বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা। আর তাই ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ করতে চলতি মৌসুমে গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে সরিষার পাশাপাশি চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল।

মাত্র ১২০ দিনে ঘরে তোলা যায় সূর্যমুখী বীজ। এছাড়া অন্য ফসলের চেয়ে ফলন ভালো ও তুলনামূলক লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা এই ফসলে আগ্রহী হচ্ছেন।

গাইবান্ধা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর কৃষি পূর্ণবাসন প্রণোদনার আওতায় জেলায় ৫৬০ জন কৃষককে বিনামূল্যে দুই কেজি করে সূর্যমুখীর বীজ এবং ২৫ কেজি করে সার বিতরণ করা হয়। এ বছর জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ৭৬ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। এ থেকে ১৬০ মেট্রিক টন সূর্যমুখী তেলের বীজ পাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।গত বছর গাইবান্ধায় ৭৫ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছিল।

সরেজমিনে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার উদয়সাগর এলাকায় বেশ কয়েকটি সূর্যমুখী ফুল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাগানগুলোতে দর্শনার্থীরা সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করছেন।

কেউ এসেছেন পরিবার পরিজন নিয়ে, আবার কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে। সবাই মূলত ছবি তোলার জন্যই এসেছেন। কেউ ছবি তুলছেন ক্যামেরা দিয়ে আবার কেউ মোবাইল দিয়ে।

দর্শনার্থীরা জানান, আমরা বাঙ্গালিরা আসলেই প্রকৃতি প্রেমী, প্রকৃতির সঙ্গে থাকতে আমাদের ভালো লাগে। আর এই মৌসুমে সূর্যমূখী ফুল প্রকৃতিকে সাজিয়েছে অপরুপ ভাবে। এই সূর্যমূখী ফুল দেখে আমরা দূর-দুরান্ত থেকে এসেছি, আসতে পেরে ভালো লাগছে।

পলাশবাড়ী কৃষি অফিসে কর্মরত উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন জানান, আমার ব্লকে দিন দিন বেড়েই চলছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ,আমরা কৃষি অফিস থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছি কৃষকদের।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, কৃষকদের সূর্যমুখী ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনা হিসেবে সার ও বীজ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। বীজ রোপণের পর থেকে আমরা নিয়মিত তদারকিও করছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার ফলনও ভালো হবে। বীজ আহরণ এবং তেল উৎপাদন এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ