বুধবার   ০৯ জুলাই ২০২৫ || ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

প্রকাশিত : ১২:১৭, ৮ এপ্রিল ২০২২

গাইবান্ধার সাদা বালুচরে মরিচের লাল গালিচা

গাইবান্ধার সাদা বালুচরে মরিচের লাল গালিচা

বিস্তৃত চরে সবুজ ভুট্রার ক্ষেতের ভেতর উঁকি দিচ্ছে লাল-সবুজ আর কালচে মরিচ। কিষান-কিষানি মরিচ ক্ষেত থেকে বেছে বেছে লাল পাকা মরিচ তুলছেন। তোলার পর রোদে শুকানোর জন্য বালির উপর নেট জালের উপর মরিচগুলো ছড়িয়ে রাখছেন। আর মরিচের সেই লাল আভা ছড়িয়ে পড়ছে সাদা বালুচরে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে বালুতে কেউ লাল গালিচা পেতে রেখেছেন।

ফুলছড়ি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদে বছরের পর বছর ধরে মরিচ চাষ হচ্ছে। গাইবান্ধার সাত উপজেলায় কমবেশি মরিচ চাষ করলেও উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি আসে এই ফুলছড়ি উপজেলার দুর্গম চর থেকে।

ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অধিফতর এবং গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন চরে ১ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ করা হয়েছে। আর গোটা জেলায় মরিচের চাষ করা হয়েছে ১ হাজার ৯’শ হেক্টর জমিতে। প্রতি বছরের মতো এবারও মরিচের বা¤পার ফলন হয়েছে।

সরেজমিনে ফুলছড়ি উপজেলার দুর্গম চরের এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নে গিয়ে কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, কার্তিক মাসে মরিচের জমি তৈরি করেন তারা। অগ্রহায়ণ মাসে বীজ লাগান। চলতি মার্চ মাসে শুরু হয়েছে মরিচ তোলা। এ সময় কাঁচা মরিচ বিক্রির পর, পাকা মরিচগুলো বালিতে নেট জাল বিছিয়ে তার উপর শুকানো হয়। শুকনো মরিচ সংরক্ষণ করে বছরের যেকোনো সময় বিক্রি করা যায়।তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় উৎপাদিত পণ্য হাটে নিয়ে বিক্রি করতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। বাধ্য হয়ে তারা গ্রামে আসা ব্যাপারিদের কাছে কমদামে এই মরিচ বিক্রি করেন। এতে করে তাদের খুব বেশি লাভ হয় না।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী গাইবান্ধায় চর রয়েছে ৬৫টির মতো। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদরের মোল্লারচর, ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া, এরেন্ডাবাড়ির সন্যাসীর চর, আনন্দের চর, ভাটিয়া পাড়া এবং সাঘাটা উপজেলার হলদিয়ার চরসহ ৫০টির বেশি চরে এই মরিচের চাষ বেশি করা হয়।

কৃষকরা জানায়, এক বিঘা জমিতে মরিচের আবাদে খরচ হয়েছে ১৪/১৫ হাজার টাকা। ফলন হয়েছে ৮ মণ। শুকানোর পর প্রায় ৬ মণ হয়েছে প্রতি মণ শুকনো মরিচ ৭ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। সরাসরি বড় কো¤পানিকে দিতে পারলে প্রতি মণ মরিচ ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারতাম।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ