শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ২ মে ২০২৩

তুলা চাষে ঝুঁকছেন গাইবান্ধার কৃষকরা

তুলা চাষে ঝুঁকছেন গাইবান্ধার কৃষকরা

একসময় বাংলাদেশের তুলা ছিল বিশ্ব বিখ্যাত। দেশেই চাষ করা হতো তুলা। ব্রিটিশ শাসনামলে হারিয়ে যায় তুলা চাষ। বিপাকে পড়ে দেশের বস্ত্র শিল্প। প্রায় সিংহভাগ তুলা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এ তুলা চাষে নতুন করে সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। বর্তমানে তুলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল, যা বস্ত্র শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

তার প্রধান কারণ, কম খরচে অধিক লাভজনক এই তুলা চাষে গাইবান্ধার কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। তুলা চাষে বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। অল্প পরিচর্যাতে বেশি ফলনও পাওয়া যায়। পাশাপাশি বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। জানা যায় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ি গ্রামের কৃষকরা ব্যাপকভাবে তুলা চাষ করছেন। এই জেলার উচ্চ ফলনশীল পালী-১ জাতের তুলার চাষ বাড়ছে।

এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া তুলা চাষে উপযোগী হওয়ায় জেলার পলাশবাড়ী উপজেলাতে দিন দিন বাড়ছে উচ্চ ফলনশীল রূপালী, হোয়াইট গোল্ড, ডিএম, শুভ্র জাতের কার্পাস তুলার চাষ। অন্য ফসলের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা এখন ঝুঁকছেন এই তুলা চাষে। এই জেলায় উৎপাদিত তুলা স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।

কৃষকের পাশাপাশি তুলাক্ষেতে কাজ করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তনের করছেন স্থানীয়রা। তুলা চাষি জামিরুল হক বলেন, আমি বিগত ১৫ বছর যাবৎ তুলা চাষ করে আসছি। আগে কলা, ভুট্টা, তামাক, পাট, নেপিয়ার ঘাস গমসহ অন্য ফসল চাষাবাদ করতাম। এবছর ৭৩ শতাংশ জমিতে তুলার চাষ করেছি। ১ বিঘায় (৩৩ শতাংশ) জমিতে ৩৯০০-৪০০০টি তুলা গাছ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ভালো ফলন হয়েছে। আর উন্নত জাত হওয়ায় তুলার মানও ভালো হয়েছে। বর্তমানে প্রতি বিঘায় ১৮-২০ মণ তুলা উৎপাদন হয়েছে। আর বাজারে প্রতিমণ তুলা ৩৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই এলাকার তুলা চাষি আব্দুল জব্বার বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় তুলা চাষ লাভজনক হওয়ায় আমি বিগত ৪-৫ বছর যাবৎ তুলা চাষ করছি। তুলা দিয়ে আমাদের দেশে বালিশ, লেপ, পুতুল, সুতাসহ অনেক কিছু তৈরি হয়। সুতাগুলো বিদেশে রপ্তানি হয়। বর্তমানে তুলা চাষাবাদে লাভবান হচ্ছি।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি দৈনিক ভোরের আকাশকে জানান, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ১৯ হেক্টর জমিতে তুলা চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এর মধ্যে উৎপাদিত হয়েছে ২.৮ হেক্টর জমিতে। যার বাজার মূল্য সম্ভবত ৬ লাখ ৯১ হাজার ৬০০ টাকা।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু