গাইবান্ধায় লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের তৎপরতা
মহামারী করনা ভাইরাসের কারনে সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধায় চলছে কঠোর লকডাউন। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কাচামাল, গালামাল ও ঔষধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাঠ রয়েছে লকডাউনের আওতায়৷ এতে করে বন্ধ রয়েছে শপিংমল সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু পেটের ক্ষুদার কাছে লকডাউন যেন কিছুই নয়। ঘন ঘন লকডাউন হবার কারণে ব্যবসায়ীরা এখন লকডাউন মানতে নারাজ। কেননা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না খুললে বেচাকেনা না করলে টাকার অভাবে পরিবার নিয়ে থাকতে হবে অনাহারে। তাই প্রশাসনের গাড়ির এলার্ম শুনলেই শার্টার বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। লকডাউন অমান্য করে বাহিরে ঘুরাঘুরি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলায় গাইবান্ধা শহর ও সদর উপজেলা সহ জেলার ৭ উপজেলায় প্রতিদিনই চলছে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট। চলছে জরিমানা। তারপরও প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলছে ব্যবসায়ীরা৷ এতে করে প্রশাসনের সাথে লুকোচুরি ঘটনা ঘটছে।
এদিকে ২৪ জুলাই রবিবার আরোপিত বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল মতিন এর নির্দেশনায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও ব্যাটেলিয়ন আনসার বাহিনীর সহযোগিতায় বিভিন্ন অপরাধে ৭২ টি মামলায় ৪৭হাজার ৮শ ৫০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মাস্ক বিহীন মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের এনডিসি এস এম ফয়েজ উদ্দিন,সহকারী কমিশনার ভূমি নাহিদুর রহমান, সহকারী কমিশনার শাহীন দেলোয়ার, লোকমান হোসেন, জুয়েল মিয়া, ইফতেখার রহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি, মৌমিতা গুহ ইভা সহ অনেকে।
উল্লেখ্য, জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক গাইবান্ধা