বাবাকে গ্রেফতারের আর্জি জানিয়ে থানায় হাজির দুই শিশু!
![বাবাকে গ্রেফতারের আর্জি জানিয়ে থানায় হাজির দুই শিশু! বাবাকে গ্রেফতারের আর্জি জানিয়ে থানায় হাজির দুই শিশু!](https://www.dainikgaibandha.com/media/imgAll/2023May/Screenshot_43-2305261117.jpg)
থানায় পুলিশকর্মীরা যে যার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও দিনের কাজ সারছিলেন। ভয় ভয় মুখে গুটি গুটি পায়ে থানার ভিতরে ঢুকল দুই শিশু। এক জনের বয়স বেশি হলে ৭ বছর। অন্য জনের বয়স ৫। সকাল সকাল থানায় দুই শিশুকে দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ শর্মা।
দুই শিশুর মধ্যে বয়সে বড় মেয়ে শিশুটির হাতে ধরা ছিল একটি কাগজ। তাতে লেখা ছিল বেশ কিছু অভিযোগ। পুলিশ কর্মকর্তা তাদের প্রশ্ন করেন, ‘তোমরা থানায় কেন এসেছ? কাগজে ওটা কি?’ এর পরই সেই কাগজটি কর্মকর্তা শর্মার দিকে বাড়িয়ে দেয় ওই শিশু।
শর্মা ভাল করে ওই কাগজটি পড়ে দেখেন, তাতে লেখা রয়েছে এক নারীর অভিযোগ। তখন তিনি দুই শিশুর কাছে জানতে চান, এই চিঠি কার। তারা সমস্বরে শর্মাকে বলে, “এই চিঠি আমার মায়ের। তার হয়েই আমরা থানায় এসেছি।”
এরপরই শর্মাকে দুই শিশু অনুরোধ করে বলে, “আঙ্কেল, আমাদের মাকে বাঁচাও। বাবা খুব মারে মাকে।” তাই তারা চায় বাবাকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিক পুলিশ।
ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের ভিতরওয়ার থানা এলাকার। দুই শিশুর মুখে মা-বাবার ঝামেলা, অশান্তির কথা শুনে তাদের আশ্বস্ত করেন শর্মা। তিনি বলেন, “ভয় পেয়ো না তোমরা। ঠিক ব্যবস্থা করব।”
দুই শিশুর মুখে বাবা-মায়ের অশান্তির কথা শোনার পর তাদের বাড়িতে যান শর্মা। ওই দম্পতির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাদের বোজানোর চেষ্টা করেন, এ ভাবে নিত্য দিন অশান্তি, ঝামেলা হলে তার প্রবাব পড়বে সন্তানদের উপর। সুতরাং, সন্তানদের কথা ভেবেই তারা যেন ঝামেলা না করেন।
শর্মা বলেন, “দুই শিশুশিশুর মুখে তাদের বাবার কথা শুনে আশ্চর্য হয়েছিলাম। কথা শোনার পর ওদের বাড়িতে যাই। দম্পতির কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করি। তাদের বোঝানো হয়, এ রকম ঝামেলা করলে তার প্রভাব সন্তানদের উপর পড়বে, যা মোটেই কাম্য নয়।”
দৈনিক গাইবান্ধা