রোববার   ১৬ জুন ২০২৪ || ৩ আষাঢ় ১৪৩১

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ২২ মে ২০২৪

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে শতমূলী

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে শতমূলী
সংগৃহীত

শতমূলী আমাদের অনেকের পরিচিত একটি লতাজাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ। শতমূলী উচ্চমানের ফলিক অ্যাসিড ও পটাশিয়ামের খুবই ভালো একটি প্রাকৃতিক উৎস। এটি সাধারণত অন্য গাছ বা খুঁটিতে ভর করে আঁকাবাঁকা হয়ে বেড়ে উঠে। এর লতায় বাঁকানো কাঁটা থাকে।

সাধারণত শরৎকালে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এ গাছের মূল হয় এবং মাঘ-ফাল্গুনে এর ফল পাকে। কাঁচা অবস্থায় এর ফল সবুজ এবং পাকলে লাল হয়। এই উদ্ভিদের গোড়ায় একগুচ্ছ মূল হয়, এ মূলকে শতমূল বা শতমূলী বলে। সাধারণত উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে শতমূলী গাছ ভালো জন্মে।  অনেকে শোভা বৃদ্ধির জন্য শখ করে বাড়ির সামনে বাগানে ফুল গাছের সাথে শতমূলী গাছ লাগিয়ে থাকেন। 

শতমূলীর ভেষজ গুণাগুণ:

১. শতমূলীর আমাদের উচ্চ কিংবা নিম্ন উভয় ধরনের রক্ত চাপকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক সহায়তা করে। শতমূলীতে থাকা পটাসিয়াম এবং বেশ কিছু উপকারী খনিজ উপাদান আমাদের রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

২. শতমূলীর রস ৩-৪ চা চামচ ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও এটি আমাদের অন্ত্রের কৃমি দূর করে এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। শতমূলী মূলের রস আমাদের যকৃৎ এবং পিত্ত থলির নানা ইনফেকশন রোধে দারুণ কার্যকর।

৩. শতমূলীর রস স্নায়ু শক্তি বৃদ্ধি করে্রে। এছাড়া শারীরিক দুর্বলতা, যৌন দুর্বলতা ও মহিলাদের সাদা স্রাব সহ বিভিন্ন সমস্যায় ৩-৪ গ্রাম পরিমাণ শতমূলীর মূলচূর্ণ ১কাপ গরম দুধের সাথে মিশিয়ে দিনে দুবার পান করলে উপকার পাওয়া যায়।

৪. শতমূলী আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং বায়ু নিঃসরণে কাজ করে। এজন্য শতমূলীর ফল অল্প পরিমাণ তরকারি রান্না করে খেতে হবে। এছাড়াও বাত-ব্যথা ও স্নায়ু দুর্বলতায় শতমূলীর ছালের রসের সাথে রসুন পিসে একসঙ্গে মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ব্যথা ভালো হয়ে যায়।

৫. অ্যাসিডিটি, শারীরিক দুর্বলতা, ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয় ও শরীরের নানা প্রকার প্রদাহ দূর করতেও শতমূলী বেশ কার্যকর। এছাড়াও এর শিকড় লিভার, কিডনি ও গনোরিয়ার জন্য উপকারী। এটি আমাদের নার্ভের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে এবং চোখ ও রক্তের যেকোনো সমস্যা দূর করে।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ

সর্বশেষ