ইউক্যালিপটাসে রয়েছে অসংখ্য ভেষজ গুণ
ইউক্যালিপটাস (Auri, Ear leaf, Acacia) এক প্রকারের উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Acacia auriculiformis। এটি Myrtaceae পরিবারের একটি গণের নাম এটি মূলত একটি কাঠের গাছ। বাংলাদেশে ইউক্যালিপটাস গাছকে নীলগিরি বা নীলগিরি গাছ নামে ডাকা হয়। বিশ্বজুড়ে ইউক্যালিপটাসের প্রায় ৭০০ প্রজাতি আছে।
দ্রুতবর্ধনশীলতা এবং অভিযোজন ক্ষমতার কারণে এটি অনেক দেশেই কাঠের গাছ হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটা উষ্ণমণ্ডলীয় এবং উষ্ণ উভয় প্রকারের জলবায়ুর প্রদেশে বেঁচে থাকতে সক্ষম। বড় বড় সড়কের ধারে সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো থাকে আর বসন্তে এর চমক লাগানো ফূল দেখে প্রায় চেনাই যায় না সারাবছর অনাড়ম্বর থাকা এই বৃক্ষটিকে। এই গাছ বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বত্র পাওয়া যায়।
ইউক্যালিপটাস গাছে যেসব ভেষজ গুণ রয়েছে-
১. অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম, অয়েনমেন্ট তৈরি করতে কাজে লাগে ইউক্যালিপটাস।
২. ইউক্যালিপটাস গাছের মূল সিদ্ধ করে ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে আমাশয় দ্রুত ভালো হয়।
৩. পেশি ও গাঁটে ব্যথা, বাতের ব্যথা, চোট সারাতে ইউক্যালিপটাস বীজের তেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
৪. ইউক্যালিপটাস পাতা বেটে ক্ষতে লাগালে ক্ষত দ্রুত ভালো হয়।
৫. আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং চীন, গ্রিস সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ওষুধ তৈরিতে কয়েক শতাব্দী ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে ইউক্যালিপটাস।
৬. দাঁতের সমস্যাতেও ব্যবহার করা হয় ইউক্যালিপটাস থেকে তৈরি মাউথওয়াশ, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ। মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে ইউক্যালিপটাস।
৭. ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, ত্বকের ক্ষত সারাতেও ব্যবহার করা হয় ইউক্যালিপটাস থেকে তৈরি ওষুধ।
৮. কীটপতঙ্গ ও মারতেও মশা তাড়াতেও ব্যবহার করা হয় ইউক্যালিপটাস থেকে তৈরি তেল।
৯. গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় যে অয়েনমেন্ট ব্যবহার করা হয়, সেগুলি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় ইউক্যালিপটাসের পাতা।
১০. বুকে কফ জমা, নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়া, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ থাকা, ব্রংকাইটিস ও সাইনোসাইটিসের সমস্যায় এ তেল খুবই কাজের।
১১. চুলে যে তেল দিচ্ছেন তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল ওয়েল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। খুব দ্রুত উকুনের যন্ত্রণা চলে যাবে।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ