কার্ডে লেনদেন কমিয়ে দিয়েছেন ব্যাংক গ্রাহকরা

ব্যাংকের কার্ডে লেনদেন কমে গেছে। জানুয়ারির তুলনায় কার্ডের মাধ্যমে টাকা ও ডলার উভয় লেনদেন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা কমেছে। সবশেষ ফেব্রুয়ারির হিসাব বলছে, সামগ্রিক কার্ড-ভিত্তিক লেনদেন ছিল ৩৯৪৬৪.৩ কোটি টাকা, যা ২৩ জানুয়ারিতে ৩৯৭৫৭.৭ কোটি টাকা ছিল। অর্থাৎ ২৯৩.৪ কোটি টাকা লেনদেন কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, কার্ড-ভিত্তিক স্থানীয় মুদ্রার মোট লেনদেনের পরিমাণ জানুয়ারিতে ৩৯,১৩৭.৪ কোটি টাকার তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে ২৩০.৭ কোটি টাকা বা ০.৬% কমে ৩৮,৯০৬.৭ কোটি টাকা হয়েছে।
অন্যদিকে, কার্ড-ভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের পরিমাণ ফেব্রুয়ারিতে ৬২.৮ কোটি ১০.১২% কমে ৫৫৭.৫ কোটি টাকা হয়েছে। যা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৬২০.৩ কোটি টাকা ও ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৬৩৯.৬ কোটি টাকা ছিল।
ব্যাংকাররা জানান, রমজান ও ঈদে বাড়তি ব্যয়ের কথা মাথায় রেখে অনেকেই আগের মাসগুলোতে খরচ কমিয়ে দেন। ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় মুদ্রার লেনদেন কমে যাওয়ার পেছনে এটি একটি বড় কারণ হতে পারে। তবে মার্চ ও এপ্রিলের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এটি সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছে।
কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন সম্পর্কে ব্যাংকাররা বলেন, এটি ডলারের প্রাপ্যতা ও বিদেশে ভ্রমণকারীর সংখ্যার উপর নির্ভর করে। গ্রাহকরা বেশিরভাগই তাদের বিদেশ ভ্রমণের সময় তাদের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে। যাত্রীরা মূলত বিমান ভাড়া, ভ্রমণ খরচ, হোটেল বুকিং ও কেনাকাটার খরচের মতো খরচ মেটাতে তাদের কার্ডে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে।
তারা বলেন, বাজারে চলমান ডলার সংকটের কারণে কিছু ব্যাংক ভ্রমণকারীদের বিদেশী কার্ড ব্যবহারে সীমিত করেছে, যার ফলে লেনদেন হ্রাস পেতে পারে। তবে কার্ড ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন এ অর্থ বছরে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ যাত্রীদের জন্য ব্যাংক থেকে কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া অনেক সহজ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, একজন কার্ডধারী তাদের ব্যক্তিগত এনটাইটেলমেন্ট হিসাবে বছরে ১২,০০০ ডলার পর্যন্ত ব্যয় করতে পারেন।
দৈনিক গাইবান্ধা