শনিবার   ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ || ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত : ১০:৩৯, ২২ এপ্রিল ২০২৪

দুবাইয়ের বন্দরে পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ, নাবিকরা সুস্থ

দুবাইয়ের বন্দরে পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ, নাবিকরা সুস্থ
সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছেছে সম্প্রতি জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। বাংলাদেশ সময় রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছে জাহাজটি।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করছে। আজ রাতেই জেটিতে বার্থিং করতে পারে। নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুজন নাবিক বিমানযোগে বাংলাদেশে ফিরবেন। এছাড়া বাকি ২১ নাবিক জাহাজেই ফিরবেন। তবে সেখানে মালিকপক্ষের টিম গিয়ে নাবিকদের সঙ্গে কথা বলবে। এরপর নাবিকরা চাইলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও করতে পারেন। 

কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, জাহাজে থাকা কয়লা দুবাই বন্দরে খালাস হবে। এরপর অন্য মালামাল লোড করে জাহাজটি বাংলাদেশে ফিরবে।

গত ১২ মার্চ দুপুরে এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। জাহাজের মালিকপক্ষের তৎপরতায় পরে সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

এক মাসের বেশি সময় পর ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে রাতেই সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। 

৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ