চাঁদে ট্রেন চালাতে চায় নাসা! আলোচনায় ‘ফ্লোট প্রযুক্তি’
![চাঁদে ট্রেন চালাতে চায় নাসা! আলোচনায় ‘ফ্লোট প্রযুক্তি’ চাঁদে ট্রেন চালাতে চায় নাসা! আলোচনায় ‘ফ্লোট প্রযুক্তি’](https://www.dainikgaibandha.com/media/imgAll/bg_img/665032846ffea-20.jpg)
ট্রেনে চড়ে পৌঁছে যাবেন চাঁদে! সত্যিই, এবার চাঁদে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। তবে পৃথিবীর মতো চাঁদে যাওয়ার ট্রেনের কিন্তু দুটি ট্র্যাক থাকবে না। তাহলে ব্যাপারটা কী, ফ্লোট প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করবে জেনে নেয়া যাক।
বিশ্বের বড় বড় মহাকাশ সংস্থাগুলো চাঁদে পৌঁছাচ্ছে। চাঁদের প্রজেক্টের জন্য একটি বিশেষ মিশন চালু করেছে চীন। এদিকে নাসা আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চাইছে। সেখানে বসতি স্থাপন করতে চাইছে। বিশেষজ্ঞরা মানুষকে অন্য গ্রহে নিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম উপায়ও খুঁজছেন। কিন্তু উড়ন্ত পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষকে চাঁদে নিয়ে যাওয়া কিছুটা কঠিন হতে পারে। তাই নাসা একটি রেল ব্যবস্থা তৈরি করতে চায় যাতে, মানুষ চাঁদের মতো দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণ করতে পারে।
চাঁদে বৃহৎ জনসংখ্যা পরিবহনের ক্ষেত্রে বর্তমানের প্রচলিত উপায় কার্যকর হবে না। এর জন্য বড় পরিবহণ পরিষেবা প্রয়োজন। তাই ফ্লোট নামে একটি নতুন প্রযুক্তি তৈরি করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে এটি চাঁদে মিশনের সময় নভোচারীদের জন্য একটি দারুণ বিকল্প সরবরাহ করবে। চুম্বক চালিত এই রেলপথ তৈরির জন্য অর্থায়নও বাড়িয়েছে নাসা।
ফ্লোট প্রযুক্তি আবার কী
এটি অনেকটা কল্পবিজ্ঞান সিনেমার মতো। ফ্লোট মানে হল ট্র্যাকে নমনীয় লেভিটেশন। এই প্রকল্পটি নাসা-এর জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি পরিচালনা করছে। এটি নাসার উদ্ভাবনী উন্নত ধারণা প্রোগ্রাম অধ্যয়নের দ্বিতীয় পর্যায়। প্লাজমা রকেট এবং একটি বড় অপটিক্যাল অবজারভেটরি রয়েছে এই পর্যায়ে।
নাসার নির্মিত এই রকেটটি পৃথিবী থেকে সৌরজগতের যেকোনও স্থানে দ্রুত ভ্রমণ করতে সক্ষম হবে। চন্দ্র রেলব্যবস্থা চাঁদে নির্ভরযোগ্য, স্বয়ংক্রিয় এবং দক্ষ পেলোড পরিবহণ ব্যবস্থা সরবরাহ করবে। চাঁদের মাটি পরিবহনে ভূমিকা পালন করতে পারে এটি। এই মাটির সাহায্যে নভোচারীরা চাঁদে ভিত্তি তৈরি করতে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
নাসার রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ার ইথান স্ক্লার এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার অনুমান যে এটি দিনে ১০০ টন পণ্য পরিবহণ করতে পারে। তিনি আরো ব্যাখ্যা করেছেন ট্রেনের যে চাকা, তা ট্র্যাকের উপর দিয়ে উড়ে উড়ে এগিয়ে যাবে। এই রোবটগুলিতে কার্ট বসানো হবে এবং প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১.৬১ কিলোমিটার বেগে চলাচল করবে।
মহাকাশ সংস্থা নাসা বলেছে, ফ্লোট-এর মূল উদ্দেশ্য হবে চাঁদের সেই জায়গাগুলোতে পরিবহণ পরিষেবা প্রদান করা, যেখানে নভোচারীরা সক্রিয় রয়েছেন। চন্দ্রপৃষ্ঠের বিভিন্ন এলাকায় চন্দ্রের মাটি ও অন্যান্য উপকরণ বহন করার কাজ করবে এটি। এছাড়াও মহাকাশযান অবতরণ করবে যে এলাকায়, সেখান থেকে বৃহত্তর লোড সামগ্রী এবং সরঞ্জাম পরিবহণ করবে এটি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ফ্লোট হবে নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের অংশ, যেটি ১৯৭২ সালের পর প্রথমবারের মতো চাঁদে মহাকাশচারীদের পাঠাতে চায়। মহাকাশ সংস্থা চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশচারীদের বসতি স্থাপন করার জন্য ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট