শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রকাশিত : ১২:৪৩, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মহাকাশে ইতিহাস সৃষ্টির পথে জাপান, পাঠানো হচ্ছে কাঠের তৈরি স্যাটেল

মহাকাশে ইতিহাস সৃষ্টির পথে জাপান, পাঠানো হচ্ছে কাঠের তৈরি স্যাটেল
সংগৃহীত

মহাকাশ অভিযানে ইতিহাস সৃষ্টির পথে জাপান। মহাশূন্যে কাঠের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে দেশটি। শিগগিরই সেটির উৎক্ষেপণ হবে বলে জানা গেছে। হিমচাঁপা গাছের (ম্যাগনোলিয়া) কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ওই কৃত্রিম উপগ্রহ। সেটি এতটাই মজবুত তার গঠন যে একচুলও ফাটল ধরার অবকাশ নেই।

পরিবেশবান্ধব মহাকাশযান এবং কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করতে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছিল জাপান। ধাতুর পরিবর্তে কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির কাজে হাত দেয় তারা। সম্প্রতি সেই কাজে হাত দিয়ে সাফল্য পেয়েছে দেশটি। কিয়োটো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই অসাধ্য সাধন করেছেন। কাষ্ঠ সংস্থা সুমিতোমো ফরেস্ট্রি ওই কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির জন্য হিমচাঁপা গাছের কাঠ সরবরাহ করেছে তাদের।

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের গবেষণায় একাধিক বার কাঠের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহের সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে। সেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করে দেখাচ্ছে জাপান। কাঠ দিয়ে তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহের মডেলের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা, যার নাম রাখা হয়েছে ‘লিগনোস্যাট প্রোব’।

জাপানের মহাকাশচারী তাকাও দোই বলেন, ‘পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশ করলে সব কৃত্রিম উপগ্রহই পুড়ে যায়, তা থেকে অ্যালুমিনিয়ামের কণা ছড়িয়ে যায়। বায়ুমণ্ডলের উপরিস্তরে বহু বছর ভেসে থাকে সেগুলো, যা পৃথিবীর পরিবেশকেও প্রভাবিত করে।’’

সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির কাজে হাত দেয় জাপান। বিভিন্ন ধরনের কাঠ নিয়ে চলে পরীক্ষা। শেষ পর্যন্ত মহাকাশে থাকার উপযুক্ত হিসেবে পরীক্ষায় উতরে যায় হিমচাঁপা গাছের কাঠ। কারণ ওই কাঠ সহজে ক্ষয়ে যায় না, ক্ষতিগ্রস্ত হয় না আবার ভরেরও পরিবর্তন হয় না তেমন।

এর পর আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) ওই হিমচাঁপা কাঠ পাঠানো হয়। সেখানে এক বছর ধরে পরীক্ষানিরীক্ষা চলে। তার পর ওই কাঠ আবার পৃথিবীতে ফেরত পাঠানো হয়। সামান্য ঘর্ষণ ছাড়া সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি কাঠটি। তারপরই কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির কাজ শুরু হয়। এই কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কোজি মুরাতা। তার দাবি, ‘মহাকাশে অক্সিজেন নেই। তাই কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহে আগুন ধরার সম্ভাবনা নেই।’

কফি মগের চেয়েও ছোট আকৃতির স্যাটেলাইটটি মহাকাশে অন্তত ছয় মাস থাকবে। এরপর এটিকে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। কক্ষপথে আবর্তনের সময় যদি লিগনোস্যাটের কার্যক্রম ভালো হয়, তবে আরো কাঠের স্যাটেলাইট তৈরির দুয়ার খুলে যাবে। 

সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ