ইসলামিক জীবন
সুরা আল মুমিনের ফজিলত

সুরা আল মুমিন পবিত্র কোরআনের ৪০ নম্বর সুরা। এই সুরা থেকে নিয়ে সুরা আহকাফ পর্যন্ত সাতটি সুরা ‘হা-মীম’ বর্ণযোগে শুরু হয়েছে। এগুলোকে ‘আল-হা-মীম’ অথবা ’হাওয়ামীম’ বলা হয়।
হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আল-হা-মীম কোরআনের রেশমী বস্তু, অর্থাৎ সৌন্দর্য। মুসইর ইবনে কেদাম বলেন, এগুলোকে عرائس অর্থাৎ নববধূ-বলা হয়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, প্রত্যেক বস্তুর একটি নির্যাস থাকে, কোরআনের নির্যাস হল আল-হা-মীম অথবা হাওয়ামীম।(ফাযায়েলুল কোরআন)
এই সুরার ফজিলত সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে আয়াতুল কুরসী এবং সুরা মুমিনের প্রথম তিন আয়াত পাঠ করবে সে সেদিন যে কোন কষ্ট ও অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। (ইবনে কাসির)
আরেক হাদিসে হজরত মুহাল্লাব ইবনে আবু সফরাহ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) কোন এক জিহাদে রাত্রিকালীন হেফাজতের জন্য বলেছিলেন, রাত্রিতে তোমরা আক্রান্ত হলে حم لا ينصرون পড়ে নিও। অর্থাৎ হা-মীম শব্দ দ্বারা দোয়া করতে হবে যে, শত্রুরা সফল না হোক। (আবু দাউদ ও তিরমিজি)
আয়াতুল কুরসি আরবি :
اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-
আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ :
আল্লাহু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম, লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহু মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্ব। মান জাল্লাজি ইয়াশফা’উ ইনদাহু ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহিতুনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহি ইল্লা বিমা- শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়াতি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিয়্যূল আজিম।
আয়াতুল কুরসির অর্থ :
আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তারই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে যে তাঁকে সুপারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পেছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট