শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত : ১১:২০, ২১ এপ্রিল ২০২৪

সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য

সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
সংগৃহীত

আধুনিক পদ্ধতিতে দেশীয় জাতের “ছক্কা” নামের করলা চাষ করে ব্যাপক সাফল্যের মুখ দেখছেন গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের উত্তর বামনজল গ্রামের করলা চাষী আবদুস সামাদ মন্ডল টুকু। 

মাত্র ১২ শতক জমির উপর গড়ে উঠা ছক্কা নামের দেশীয় জাতের করলা চাষ করে ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। বৃষ্টির পানি জাতে করলা গাছের গোড়ার মাটির কোন ক্ষতি করতে না পারে এজন্য মালচিং পলিথিন দিয়ে ঢাকা ইউসেড মাচার উপর ধরেছে থোকায় থোকায় মাঝারী আকৃতির করলা। হাজারো করলার ভরে মাচা যেন হেলিয়ে পড়ছে। মাত্র ১৩ মাচায় ৩’শ করলা গাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪/৫ মন করলা উত্তোলন করে তিনি পাচ্ছেন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। অল্প খরচে বেশি মুনাফা পাচ্ছেন তিনি।

চাষী টুকু জানান, প্রধানমন্ত্রীর এক ইঞ্চি জমি যাতে পরিত্যাক্ত না থাকে এমন ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি তার এই পরিত্যাক্ত ১২ শতক জমিতে করলা চাষে উদ্ভুদ্ধ হন। অন্যান্য রবি ফসল আবাদ না করে ব্যতিক্রমধর্মী ঔষধী সবজি হিসেবে করলা চাষে উদ্বুদ্ধ হন। তৈরি করেন এর প্রজেক্ট। দেশীয় জাতের ছক্কা এগ্রো-১ থেকে চারা বীজ সংগ্রহ করে ইউসেড মাচা দিয়ে লাগান করলা। ৮ মাসের জীবন কালে এই করলা রোপনে ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়।

তিনি জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রহিম ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল কবিরের সার্বিক পরামর্শ নিয়ে চাষ শুরু করেন। অর্থনৈতিক সংকটে ছিলাম কিন্তু এই করলা চাষে আমাকে সে সংকট থেকে অনেকটা পরিত্রান দিয়েছে। আগামীতেও এই প্রজেক্ট বৃদ্ধি করার চিন্তা ভাবনা করছি। কারণ হিসেবে তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন এ জাতের ও পদ্ধতিতে করলা চাষ করে আমি যেন আত্ম নির্ভরশীলতার স্বপ্ন দেখছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশেদুল কবির বলেন, টুকু মন্ডলের ন্যায় স্বল্প খরচে অধিক মুনাফার জন্য সকলকে বসতবাড়ীর আনাচে কানাচে একটি সেড হলেও করলা বা অন্যান্য সবজি চাষ করা উচিত।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ