শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রকাশিত : ১৭:২২, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মাটির নিচে ‘ফ্রেন্ডশিপ ট্রেনিং সেন্টার’

গাইবান্ধা শহর থেকে বালাসিঘাট সড়ক দিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার যেতেই রাস্তার পাশেই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। রাস্তা থেকে পাঁচফুট উঁচুতে এই স্থাপনাটির ছাদ ঘন সবুজ ঘাসে আবৃত। দূর থেকে দেখে মনে হবে, কেউ যেন সেখানে ঘাসের কৃত্রিম সবুজ গালিচা পেতে রেখেছেন।

ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনের পাড়া গ্রামে ফ্রেন্ডশিপ ট্রেনিং সেন্টারটি। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাষু মানুষ আসেন এই ভবনটি দেখতে। চরাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষের সেবা দিতে এবং বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য সমাজ সেবক রুনা খান এটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক।

কর্তৃপক্ষ জানায়, মাটির নিচে অত্যাধুনিক এই ভবনটির নকশাকার ও স্থপতি কাশেফ মাহবুব চৌধুরী। ভবনটির নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যে, ওপর থেকে দেখতে অনেকটা প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের মতো। এর নির্মাণশৈলীর অনুপ্রেরণাও নেওয়া হয়েছে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার বগুড়ার মহাস্থানগড় থেকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘন সবুজ ঘাসের গালিচায় এক বিশাল স্থাপনা। কি নেই সেখানে? ভবনের জন্য নির্ধারিত জমি খুবই নিচু হওয়ায় পানি আটকাতে চারদিকে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। পুরো ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে লাল রঙের ইঁট ও সিমেন্টের গাঁথুনি দ্বারা। ভবনের কোথাও কোনো প্লাস্টার ব্যবহার করা হয়নি। পুরো সেন্টারটিকে দুইটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে । ‘ক’ ব্লকে মূলত অফিস, ট্রেনিং সেন্টার, লাইব্রেরি রয়েছে। ‘খ’ ব্লকে রয়েছে এসি সুবিধাসহ পরিপাটি আবাসিক ভবন। রুমের অবস্থান ও কার্যক্রম অনুসারে পুরো নির্মাণ এলাকা ২৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এদের একটির সঙ্গে আরেকটি সংযুক্ত এবং প্রতিটি কক্ষের রয়েছে আলাদা বারান্দা ও খোলা প্যাভেলিয়ন।

ফ্রেন্ডশিপ ট্রেনিং সেন্টারটির ম্যানেজার লোকমান হোসেন বলেন, ‘ট্রেনিং সেন্টারটি নির্মাণে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছে। ভবনটি নির্মাণে খরচ হয়েছে আনুমানিক ৮ কোটি টাকা। এই প্রজেক্টের ডিজাইনের কাজ ২০০৮ সালে শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১১ সালে।’

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ