গাইবান্ধা জেলার ঐতিহাসিক স্থান বর্ধন কুঠি
![গাইবান্ধা জেলার ঐতিহাসিক স্থান বর্ধন কুঠি গাইবান্ধা জেলার ঐতিহাসিক স্থান বর্ধন কুঠি](https://www.dainikgaibandha.com/media/imgAll/2023November/Screenshot_2-2311090531.jpg)
গাইবান্ধা জেলার অন্যতম একটি ঐতিহাসিক স্থানের নাম বর্ধন কুঠি। এই স্থানটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাছে অবস্থিত। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে রাজা হরিনাথ বর্ধনকুঠি শাসন করেছিলেন। তবে, ভারতীয় উপমহাদেশের বিভক্তির সময় বর্ধন কুঠির সর্বশেষ শাসক রাজা শৈলেশ চন্দ্র বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাড়ি জমান।
এই স্থানে গোবিন্দগঞ্জ কলেজ প্রতিষ্ঠার ফলে শুধুমাত্র বর্ধনকুঠির অবশিষ্টাংশ আপনার চোখে পড়বে। তবে, ব্যাপক গবেষণা পরিচালনা করা হলে বর্ধনকুঠির জমিদারদের সম্পর্কে এবং তাঁদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ছাড়াও এখানকার গৌরবময় ইতিহাসের আরো নিদর্শন আবিষ্কার করা সম্ভব হবে। সুদূর প্রাচীন কাল থেকে (বর্তমান) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাধীন বর্ধন কুঠি তৎকালীন রাজা বাদশাদের গূরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ইউনিট ছিল। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে রাজা রামপাল এখানে বাসুদেব মন্দির নির্মাণ করেন। তখন রাজা মানসিংহ বাংলার সুবাদার ছিলেন। ইংরেজ আমলে তা জমিদার বাড়ী হিসেবে খ্যাতি পায়।
পুরাকালে পুন্ড্র বধন, মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালের বরেন্দ্র এবং আজকের বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ বর্তমানে তার প্রাচীন এতিহ্যের অনেক কিছু হারাতে বসেছে। নজির হিসেবে বর্ধন কুঠি অন্যতম । বিধ্বস্ত রাজবাড়ীর উন্মুক্ত অংশের বিভিন্ন রকমের সুসজ্জিত ছায়ঘন কৃক্ষ, ফাকে ফাকে শিল্পীর নিপুল হস্তে গড়া এককালের ক্ষষিষ্ণু দালানকোঠা আর তার অংশ বিশেষে গড়ে উঠা গোবিন্দগঞ্জ কলেজ আজও বর্ধন কুঠির স্বৃতিচিহ্ন বক্ষে ধারন করে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে।
নামকরণঃ অনেকে ধারণা , গোবিন্দগঞ্জ সদরে অবস্থিত বর্ধন কুঠি প্রাচীন বর্ধন কোট নামে পরিচিত ছিল। কোন সূত্রে ধরে এই স্থানের নাম বর্ধন কোট বা কাল ক্রমে বর্ধন কুঠি হয়েছে, তার গুরুত্ব উদঘটন করা বর্তমান প্রজন্মের কাছে অনেকটা দুরুহ হয়ে দাড়িয়েছে। প্রাচীনকালে এ স্থানে বর্ধন নামে একজন শক্থিধর নরপতি ছিলেন তার নামানুসারে এ স্থানের নাম হয়েছে বর্ধনকোট, যা কাল ক্রমে বর্ধনকুঠিতে রুপ নিয়েছে। নাম করণর ক্ষেত্রে অনেকে একথাও মনে করেন, বর্তমানে যে, স্থানটি বর্ধনকুটি নামে পরিচিত সেই স্থানটি শক্তিদর বর্ধন বংশীয় কোন এক উত্তরসুরী এসে (পরবর্তীতে) স্থায়ী বসতি গড়েন, তখন তাদের বংশীয় নামের সূত্র ধরে বর্ধন কোট বা বর্ধন কুঠি নামে সৃ্ষ্টি হয়। বর্ধনকুঠিতে যেতে হলে আপনাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পৌছাতে হবে। সেখান থেকে অটো রিকশা অথবা রিকশায় করে বর্ধনকুঠিতে পৌছাতে পারবেন।
দৈনিক গাইবান্ধা