বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:০১, ১৭ মার্চ ২০২৩

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পান চাষে সাফল্য

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পান চাষে সাফল্য

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পূর্ব শান্তিরাম গ্রামের পান চাষীরা পান চাষে কেঁচো ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে পান উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। ওই গ্রামের পান চাষী শংকর চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী গৃহিনী শ্রীমতি মিনা রাণী তার পানের বরজে ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে পানের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।

পান চাষী মিনা রাণী জানান, পানের বরজে আমরা এখন কেঁচো থেকে উৎপাদিত ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করছি। এতে বরজে খুব অল্প দিনেই পানের লতার আগা বেড়ে উঠে ও পানের আকার বড় হয়। আর বড় বড় পানে দামও বেশ ভালো পাওয়া যায়। এব্যাপারে তার কৃষক স্বামী শংকর চন্দ্র বর্মন জানান, বিগত ১০ বছর যাবত তারা পানের চাষ করছেন। কিন্তু ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করার ফলে পানের যে ফলন পাওয়া গেছে এমন আর কখনই পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, একটি বেসরকারী সংগঠনের সহযোগিতায় তার বাড়িতে একটি কেঁচো সার তৈরীর কম্পোস্ট পিট তৈরী করে।

যেখান থেকে কেঁচো সার উৎপাদন করে নিজের জমিতে দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মাসে প্রায় ৮-১০ মণ সার বিক্রি করে ৬ হাজার টাকা আয় করে। বিক্রি এবং ব্যবহারের মূল্য হিসেবে মাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকার সারও উৎপাদন করেন তিনি। কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট ওই পান চাষীরাই উৎপাদন করে শুধু পান চাষেই নয় তার বাড়ির আশেপাশে বসতভিটার শাক-সবজির চাষ এবং নিজের আবাদি জমিতে ব্যবহার করছেন নিয়মিত। এতে শাক-সবজি যেমন- লাউ, কুমড়া, শসা, লালশাক, সবুজ শাক, কলমিশাক, বেগুন, মুলা, করলা, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন রবি ফসল উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত সমন্বিত পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন শুরু হয় ২০১৫ সালে। প্রথমদিকে বিষয়টি মানুষের কাছে গুরুত্ব না পেলেও বর্তমানে এই সারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। কৃষক পরিবারের নারীদেরকে কেঁচো সারের উপর প্রশিক্ষণ এবং উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার ধোপাডাঙ্গা, রামজীবন ও দহবন্দসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কমিউনিটি পর্যায়ে কেঁচো সার উৎপাদনের জন্য প্রায় ২২০ জন নারীকে ভার্মি কম্পোস্ট প্রদর্শনী প্লট তৈরী করতে সহায়তা দেয়া হয়। এই প্রদর্শনী দেখে পার্শ্ববর্তী অন্য কৃষাণীরাও এই কেঁচো সার উৎপাদন ও বাজারজাত করণের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ