শরীরে পানির ঘাটতি বুঝবেন কী করে, হলে করণীয়

সুষম খাদ্য যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি পানিও গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
সাধারণত ঘামের সঙ্গে পানি বেরিয়ে গিয়ে অথবা প্রচন্ড গরমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে শরীরের পানিশূন্যতা তৈরি হয়। শরীরে পানির ঘাটতির ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে আর তা নানান সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপে সহজেই এ অসুস্থতার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ঘামের সঙ্গে পানি বেরিয়ে গিয়ে অথবা প্রচন্ড গরমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। এর ফলে ডায়রিয়া, বমি হতে শুরু করে।
যেসব লক্ষণে আপনি সহজেই বুঝবেন শরীরে পানির ঘাটতি রয়েছে।
ক্লান্তিভাব: মৃদু ডিহাইড্রেশনের ফলে মাথা ধরা ও ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে। ঘাম, মলমূত্র ত্যাগের মাধ্যমে শরীর থেকে কিছুটা পানি বেরিয়ে যায়। আর আপনি যদি পর্যাপ্ত পানি না খান, পানির ঘাটতি পূরণ না হয়, তবে শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে। এতে করে আপনার মনোসংযোগের অভাব ও মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। এ সব লক্ষণে বুঝবেন, শরীরে পানির অভাব রয়েছে।
মুখে দুর্গন্ধ হওয়া: শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে মুখে লালা তৈরি কমে যাবে। এতে করে মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া বেশি তৈরি হওয়ার পরিবেশ পায় যা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন: প্রস্রাবের রং হালকা হলুদ থেকে গাঢ় হলুদ হয়ে যাওয়া এবং তাতে তীব্র দুর্গন্ধ পানিশূন্যতা নির্দেশ করে। পরে প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য: কোষ্ঠকাঠিন্য, বুক জ্বালাপোড়া ও বদহজমের মতো পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা পানিশূন্যতার লক্ষণ।
মূত্রজ্বালা: মূত্রের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর টক্সিন বা ক্ষতিকারক পদার্থ বের হয়ে যায়। আপনি যদি পর্যাপ্ত পানি না খান, তবে মূত্র কম বের হবে। মূত্রের রং হলুদ ধারণ করবে। প্রস্রাব করতে গেলে জ্বলবে। মূত্রজ্বালায় অনেকে ভুগে থাকেন। এ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
পানিশূন্যতা থেকে বাঁচতে যা করণীয়
(১) প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। দিনে দেড় থেকে ২ লিটার পানি খাওয়া জরুরি। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে তরল বা জলীয় খাবার খেতে হবে।
(২) গরমের মধ্যে কায়িক শ্রম এড়িয়ে চলতে হবে।
(৩) বারবার বমি হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখানো উচিত।
(৪) পাতলা পায়খানা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
(৫) বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করলে পানিশূন্যতা এড়ানো যায়।
(৬) পানিশূন্যতা রোধে বেশি করে লেবুর শরবত, ফলের রস খেতে হবে।
(৭) চা-কফি, সোডা, অ্যালকোহল পান এড়িয়ে যেতে হবে।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ