শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রকাশিত : ১১:১৭, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১১:১৯, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

ফুলছড়িতে সৌরবিদ্যুৎ এ বদলেছে মাঝির ভাগ্য

ফুলছড়িতে সৌরবিদ্যুৎ এ বদলেছে মাঝির ভাগ্য
সংগৃহীত

নৌকার মাঝি জসিজল বয়স (৪৫)। ১৯৯১ সাল থেকে যমুনার ভরতখালি নৌকাঘাটে নদী পারাপারের কাজ করেন। এতে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা আয় হলেও ৫০০ টাকার ডিজেল কিনতে হতো।

কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারের যৌথ অর্থায়নে মেকিং মার্কেট ওয়ার্ক ফর চরস (এমফোরসি) প্রকল্পের অধীনে নৌকায় সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে বদলে গেছে তার ভাগ্য। এমন পরিবর্তন শুধু মাঝি জসিজলের হয়নি, চরাঞ্চলের অনেকেরই হয়েছে।

দুপুরে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ভরতখালি নৌকাঘাটে গেলে ভাগ্য বদলের কথা বলেন জসিজল। জসিজল একই উপজেলার পশ্চিম গাবগাছী গ্রামের খোকা সরকারের ছেলে।

জসিজল বলেন, চার সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। নৌকা চালিয়ে সংসার চালানো অনেকটাই কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সম্প্রতি এমফোরসি প্রকল্পের মাধ্যমে নৌকায় সৌরবিদ্যুৎ লাগানোর পর ভালো আয় হচ্ছে। এখন আর তেল কিনতে হয় না। আগে যদি ১৫০০ টাকা কামাই হতো, তারমধ্যে ৫০০ টাকা যেত তেল কিনতে। এখন আর সেই খরচ হয় না। নৌকায় সৌরবিদ্যুৎ লাগানোর পর প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা আয় হয়। এখন শুধু সংসার না, সন্তানদের পড়াশোনাও করাচ্ছেন তিনি।

ভরতখালি নৌকাঘাট এলাকার জুলমাত আলী বলেন, এ ঘাটে এখন সন্ধ্যা নামার পরও নৌকার আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে থাকে। নৌকার মাঝিরা রাতের প্রয়োজনীয় সব কাজ সারেন সৌরবিদ্যুতের আলোয়। এখন আর বাতাসে বাতি নিভে যাওয়ার ভয় নেই। নৌকায় বসে মোবাইল ফোনও চার্জ দেওয়া যায়।

সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার এমফোরসি প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার (এফও) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, চরাঞ্চলের মানুষদের জীবনমান সহজলভ্য, উন্নত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গঠনে এমফোরসি বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এতে বদলে যাচ্ছে তাদের জীবনমান।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ