টাইব্রেকারে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় আর্জেন্টিনার
অগাস্টিন ফ্যাবিয়ান রবার্তো দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করলেন। রুদ্ধশ্বাস ৬ গোলের লড়াইয়ে নাটকীয়ভাবে ম্যাচে ফিরেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ভাগ্যটা যেন তাদের সঙ্গে ছিল না। টাইব্রেকারে এসে হারতেই হলো।
৩-৩ সমতায় থাকা ম্যাচে জার্মানির কাছে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হেরে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার। জার্মানি উঠে গেছে ফাইনালে।
দুই দলই সমানে সমান। কেউ যেন কাউকে ছাড় দেওয়ার পাত্র নয়। সেমিফাইনালে তাই জার্মানি আর আর্জেন্টিনার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলো। সেই লড়াইয়ে জার্মানি যখন উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই নাটকীয়ভাবে ম্যাচে ফিরলো আর্জেন্টিনা।
৩-২ গোলে পিছিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা নির্ধারিত সময়ের পর সপ্তম মিনিটে (৯০+৭) গোল করে অবিশ্বাস্য এক ড্র করে। ফলে ৩-৩ সমতায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে প্রথম দুই শটেই গোল করে জার্মানি আর আর্জেন্টিনা প্রথম দুই শটই মিস করে। পেনাল্টিতে গোল করতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টিনার দশ নম্বর জার্সিধারী আগের ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা ক্লদিও এচেভেরিও।
তৃতীয় শটে আবার জার্মানি মিস করে, আর্জেন্টিনা গোল করে। ২-১ ব্যবধান ছিল তখন পর্যন্ত। আশা ছিল আলবিসেলেস্তেদের। কিন্তু চতুর্থ শটে জার্মানির ছয় নম্বর জার্সিধারী হেয়ারশয়ি গোল করলে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। আর্জেন্টিনা গোল করলে হয় ৩-২।
শেষ শটেই ছিল সবকিছু। জার্মানি মিস করলে লড়াইয়ে ফিরতো পারতো আর্জেন্টিনা। কিন্তু এবার জার্মানির সাত নম্বর জার্সি প্যারিস ব্রুনার কোনো ভুল করেননি। বল জালে জড়িয়ে নিশ্চিত করেন ফাইনাল (৪-২)।
এর আগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে নবম মিনিটে প্যারিস ব্রুনারের গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল জার্মানি। ৩৬ মিনিটে সমতা ফেরান আর্জেন্টিনার রবার্তো। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে আরও এক গোল করে আর্জেন্টিনাকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮ মিনিটে ব্রুনার আবার জার্মানিকে সমতায় ফেরান। ৬৯ মিনিটে ম্যাক্স মুয়েরস্ট্যাট স্তব্ধ করে দেন আর্জেন্টিনাকে।
৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছিল জার্মানরা। কিন্তু ৯৭ মিনিটে নাটকীয় এক গোলে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করার পাশাপাশি আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে নিয়ে যান রবার্তো।
দুর্দান্ত এই লড়াইয়ের শেষটায় এসে চমক দেখিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু টাইব্রেকার ভাগ্য আর তাদের সহায় হয়নি। ফলে দারুণ খেলেও আরও একবার ফাইনালে উঠতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মেসি-ম্যারাডোনার উত্তরসূরিদের।
সূত্র: জাগো নিউজ