বুধবার   ০৯ জুলাই ২০২৫ || ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত : ১৫:১৮, ৯ জুলাই ২০২৫

স্বাস্থ টিপস

কীভাবে গোলমরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে

কীভাবে গোলমরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে
সংগৃহীত

বর্ষায় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা যেমন- ঠান্ডা, কাশি, ভাইরাল জ্বর আর হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এই মৌসুমে পরিবেশের আর্দ্রতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। এ সময়ে রান্নাঘরের একটি সাধারণ মসলা মানে গোল মরিচ হয়ে উঠতে পারে আশীর্বাদের মতো। 

'মসলার রাজা' হিসেবে পরিচিত গোলমরিচে এমন কিছু ঔষধিগুণ রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে খুবই কার্যকর। 

গোলমরিচে কী আছে?

গোলমরিচে থাকা গুরুত্বপূর্ণ যৌগ— পাইপেরিন শুধু মরিচের ঝাঁঝালো স্বাদই আনে না, এর অনেক চিকিৎসাগত গুণও রয়েছে। এ ছাড়াও এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
গোলমরিচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে ঠান্ডা, কাশির সমস্যা কমে। এতে থাকা পাইপেরিন শরীরের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান শোষণের হারও বাড়িয়ে তোলে।

ঠান্ডা, কাশি ও কফ থেকে মুক্তি
গোলমরিচ শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি কফ পাতলা করে এবং গলার জ্বালাভাব কমায়। তুলসি ও আদার সঙ্গে ক্বাথ বানিয়ে পান করলে দ্রুত আরাম পাবেন। 

হজম শক্তি উন্নত করে
বর্ষাকালে অনেকেই বদহজম, গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পড়েন। গোলমরিচ হজম এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নিঃসরণে সহায়তা করে, যা খাবার দ্রুত ও সহজে হজমে সাহায্য করে।

শরীরকে ডিটক্স করে
পাইপেরিন শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে কোষকে রক্ষা করে। এটি শরীরের ভিতর জমে থাকা ফ্রি র‍্যাডিকেল দূর করে এবং কোষের ক্ষয় রোধ করে।

অন্যান্য পুষ্টির শোষণ বাড়ায়
গোলমরিচের থাকা পাইপেরিন উপাদান অন্যান্য খাবারে থাকা উপকারী উপাদানগুলোকে শরীরে ভালোভাবে শোষণে সাহায্য করে। বিশেষ করে হলুদে থাকা কারকিউমিনের শোষণ অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

গোলমরিচ কীভাবে খাবেন
চা ও ক্বাথে
গোলমরিচ, আদা, তুলসি এবং মধু দিয়ে বানানো ক্বাথ বা চা ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে খুবই উপকারী।
স্যুপ ও ডাল-সবজিতে
মসুর ডাল, স্যুপ বা সবজির তরকারিতে এক চিমটি গুঁড়ো গোলমরিচ স্বাদ ও গুণ দুটোই বাড়ায়।
দুধের সঙ্গে
রাতে ঘুমানোর আগে গরম দুধে এক চিমটি হলুদ ও গোলমরিচ মিশিয়ে পান করলে ঠান্ডা-কাশির সমস্যা দূর হয়।
মধুর সঙ্গে
এক চা চামচ মধুর সঙ্গে অল্প গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে সকালে খেলে গলার ব্যথা বা কাশি থেকে দ্রুত আরাম মেলে। বর্ষাকালে যখন ভাইরাল ইনফেকশন, ঠান্ডা-কাশি এবং হজমের সমস্যা দেখা দেয় তখন গোলমরিচ হতে পারে একটি সহজ, প্রাকৃতিক এবং কার্যকর সমাধান। প্রতিদিন মাত্র অল্প পরিমাণে গোলমরিচ খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। 

সূত্র: সমকাল

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ