শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত : ১৩:২৫, ১১ জুন ২০২৪

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিকের বিয়ে, কনের বয়স ৯৬

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিকের বিয়ে, কনের বয়স ৯৬
সংগৃহীত

বর আর কনের বয়স যোগ করলে দাঁড়ায় প্রায় ২০০ বছর। দুজনের বিয়ে যেন দুই শতাব্দীর মিলন। হ্যারল্ড টেরেন্স (১০০) ও তাঁর প্রিয়তমা জেন সোয়েরলিন (৯৬) এই বয়সে বিয়ে করে প্রমাণ করলেন, ভালোবাসা চিরন্তন।

এই বিয়ে আলোচিত হওয়ার কারণ শুধু বয়স নয়। বর টেরেন্স দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন সৈনিক। গত শনিবার ফ্রান্সের নরম্যান্ডির কারেনতান-লেস-মারিয়াসের টাউন হলে বিয়ের কাজটি শেষ করার দুই দিন আগেই ডি-ডে’র ৮০তম বর্ষপূর্তিতে সংবর্ধনা পেয়েছেন তিনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৪ সালের ৬ জুন ফ্রান্সের নরম্যান্ডি উপকূলে পৌঁছান মিত্রবাহিনীর প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সেনা। দিনটি ডি-ডে হিসেবে পরিচিত। মিত্রবাহিনীর সেনারা সৈকতে পৌঁছালে জার্মান নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তির সঙ্গে তুমুল লড়াই হয়।

অবশ্য লড়াইয়ে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছায় মিত্রশক্তি। ঘুরে যায় যুদ্ধের মোড়। জার্মান বাহিনীর দখলদারত্ব থেকে মুক্ত হয় ফ্রান্স। শেষ পর্যন্ত অ্যাডলফ হিটলারের নিপীড়ন থেকে মুক্তি পায় ইউরোপ।

প্রতিবছর দিবসটি ঘটা করে পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন মিত্রশক্তির দেশগুলো। এবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ২০টির বেশি দেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এতে যোগ দিয়েছিলেন। অংশ নেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া মিত্রবাহিনীর সেনাও।

এ সুযোগে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইলেন টেরেন্স ও সোয়েরলিন। তাঁদের বিয়ে পড়ান কারেনতানের মেয়র জ্যঁ-পিয়েরে লোনর। বর ও কনে ‘হ্যাঁ’ বলতেই হলভর্তি অতিথিরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। বর-কনেকে অভিবাদন জানান তাঁরা।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে হবু কনে হয়তো বলতে চেয়েছিলেন, ‘ভালোবাসা কেবল তরুণদের বিষয় নয়, আমরাও প্রেমে পড়ি।’ আর দিনটিকে নিজের জীবনের সেরা দিন হিসেবে অভিহিত করেছেন টেরেন্স।

নবদম্পতির বিয়ের রাতটি যে বিশেষভাবে কেটেছে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মেয়র জানালেন, গত শনিবার রাতে এলিসি প্রাসাদে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে নৈশভোজের আমন্ত্রণও পেয়েছেন তাঁরা।

অবশ্য এই বিয়ে প্রতীকী। আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। কারণ কারেনতানের বাসিন্দা না হলে বিয়ে পড়ানোর এখতিয়ার নেই মেয়রের। টেরেন্স ও সোয়েরলিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। চাইলে বিয়ের আইনি দিকটি ফ্লোরিডায় ফিরে শেষ করতে পারেন তাঁরা।

সূত্র: প্রথম আলো

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ