যে কারণে মিঠুনের কাছে গেল বাংলাদেশের গল্প
![যে কারণে মিঠুনের কাছে গেল বাংলাদেশের গল্প যে কারণে মিঠুনের কাছে গেল বাংলাদেশের গল্প](https://www.dainikgaibandha.com/media/imgAll/2021 July/Screenshot_11-2303270650.jpg)
দীর্ঘ এক যুগ পর বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন কলকাতার অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে দেখা যাবে হিরো সিনেমায়। কথা পাকা হলেও এখনো চুক্তিবদ্ধ হননি কলকাতার এই অভিনেতা। আজ রোববার তাঁর সঙ্গে কলকাতায় দেখা করেন সিনেমাটির পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান ও চিত্রনাট্যকার আবদুল্লাহ জহির। তখন হিরো সিনেমা নিয়ে দীর্ঘ সময় তাঁদের কথা হয়।
আবদুল্লাহ জহির বলেন, ‘তিন মাস ধরে গল্পটি নিয়ে আমাদের কথা হচ্ছিল। আমরা আগে চিত্রনাট্য পাঠিয়েছিলাম। আজ বিস্তারিত কথা হলো তিনি গল্প শুনে পছন্দ করেছেন। কথা দিয়েছেন সিনেমাটি করবেন। তাঁর হাতে আরও দুটি কাজ রয়েছে। সেসব মিলিয়েই তিনি শিডিউল মেলাবেন। আশা করছি ঈদের আগেই আমাদের চুক্তি হয়ে যাবে। হয়তো অক্টোবরের দিকে আমরা শুটিং করতে পারব।’
হিরো সিনেমার গল্প ভাবার পর কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পরিচালক। কারণ, এই গল্পের জন্য প্রয়োজন রাজ্জাকের মতো একজন অভিনয়শিল্পী। পরে তাঁরা ভাবেন মিঠুনের কথা। সিনেমায় কেন মিঠুন চক্রবর্তীকে বেছে নিলেন?
এ প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক রোমান বলেন, ‘চরিত্র যে অবয়ব তৈরি করে, সেটার জন্য রাজ্জাক সাহেবের মতো একজনকে দরকার ছিল। এই চরিত্রের অনেকগুলো মাত্রা রয়েছে। কারণ, এখানে মূল চরিত্র একজন বাবাকে নিয়ে। যে কারণে প্রথম থেকেই ভাবছিলাম মিঠুন চক্রবর্তীর কথা।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে আমরা তাঁকে লাইনআপ দিয়েছিলাম। আজ গল্প পুরোটা শোনানোর পর তিনি বললেন, “ব্রিলিয়ান্ট, গল্প দারুণ! এই সিনেমা আমি করব।” তখন মনে হলো, আমরা যা চেয়েছি, সেটাই পেতে যাচ্ছি।’
হিরো সিনেমায় উঠে এসেছে বাবা ও মেয়ের গল্প। এখানে বাবার চরিত্রে অভিনয় করবেন মিঠুন। অন্যান্য চরিত্র এখনো চূড়ান্ত হয়নি। উল্লেখ্য, মিঠুন চক্রবর্তী প্রথম দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনার সিনেমা অবিচার-এ অভিনয় করেছিলেন। ১৯৮৫ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায়। শেষ ২০১০ সালে গোলাপি এখন বিলাতে সিনেমায় অভিনয় করেন।
দৈনিক গাইবান্ধা