সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা
![সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা](https://www.dainikgaibandha.com/media/imgAll/2024March/02-2403241136.jpg)
পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত রাজধানীর গুলশানের বাড়িটিতে খুলনা-৪ আসনের এমপি ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখল ও অবস্থানের ওপর আট সপ্তাহের স্থিতাবস্থা (স্টেটাসকো) জারি করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে সালাম মুর্শেদীর করা আবেদনে শুনানির পর রোববার চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
গত ১৯ মার্চ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি তিন মাসের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে বাড়ি বুঝে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে গণপূর্ত সচিবকে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন সালাম মুর্শেদী।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক।
আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, গুলশানের ঐ সম্পত্তির দখল ও অবস্থানের ওপর আট সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন চেম্বার আদালত। দুই পক্ষকেই স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ঐ সম্পত্তি যার দখল আছে তার দখলেই থাকবে। যিনি অবস্থান করছেন তিনিই অবস্থান করবেন।
রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়ি-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এরপর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নথি দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ