বুধবার   ২৩ অক্টোবর ২০২৪ || ৭ কার্তিক ১৪৩১

প্রকাশিত : ০৭:৩৫, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৭:০৮, ১২ নভেম্বর ২০২৩

ও লেভেল শিক্ষার্থী মনজিল হত্যা: সাক্ষ্য ১২ সেপ্টেম্বর

ও লেভেল শিক্ষার্থী মনজিল হত্যা: সাক্ষ্য ১২ সেপ্টেম্বর

৬ বছর আগে রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে ও লেভেল পড়ুয়া একেএম মনজিল হককে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হন। তবে আজ ডিএনএ ল্যাবের আলামত আদালতে না আনায় সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন এদিন ধার্য করা হয়। এ মামলার মোট ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মামলার বিচারকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে এবং দ্রুতই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হতে পারে বলেও আদালত সূত্রে জানা যায়।

মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- মনজিলের সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন, সৎ ভাই একেএম ইয়াসিন হক, মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া, রবিউল ইসলাম সিয়াম ও আবু ইউসুফ নয়ন। অপর আসামি মাহফুজুল ইসলাম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মনজিল হক। হত্যাকাণ্ডের পর চাচা ফারুক মিয়া (৫৮) বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শামসুদ্দিন।

মামলার চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৯২ সালে মনজিল হকের মা ঢাকার শান্তিনগর এলাকায় বসবাস করাকালে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান। তখন মনজিলের বয়স ছিল ৩/৪ বছর। মনজিলের মায়ের মৃত্যুর পর বাবা এ কে এম মঈনুল হক খালাতো শ্যালিকা লায়লা ইয়াসমিন লিপিকে বিয়ে করেন। তার এই সংসারে এ কে এম ইয়াসিন হক ও তিন মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। 

২০১৭ সালের ২০ মে মঈনুল হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার আগে বনশ্রী এলাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনেন। সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। আফতাব নগরে তিনি আরো একটি ফ্ল্যাট কেনেন তিনি। বাবা মারা যাওয়ার পর সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি ও ও সৎ ভাই একেএম ইয়াসিন হকের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দুই মাস পর মনজিল বনশ্রীর ফ্ল্যাট ছেড়ে আফতাব নগরের ফ্ল্যাটে ওঠেন। 

হত্যার এক মাস আগে মনজিলের সৎভাই ইয়াসিন তার ছোট মামা আবু ইউসুফ নয়নের সঙ্গে মনজিলকে খুন করার বিষয়ে পরামর্শ করেন। ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাট, শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকৃত নগদ ৩৭ লাখ টাকা ছাড়াও মনজিলের বাবা গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা এলাকায়ও সম্পত্তি রেখে যান। এসব সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ভাই ইয়াসিনের সঙ্গে মনজিলের মনোমালিন্য শুরু হয়। ইয়াসিন সব সম্পত্তি ভোগ দখল করতে ভাড়াটে খুনিদের সহযোগিতায় তার মা লায়লা ইয়াসমিন ও মামা আবু ইউসুফের প্ররোচনায় এবং মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়ার সহযোগিতায় মনজিলের ফ্ল্যাটে তাকে খুন করে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ