ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বৈশ্বিক সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী
![ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বৈশ্বিক সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বৈশ্বিক সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী](https://www.dainikgaibandha.com/media/imgAll/2023November/01-2311290340.jpg)
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাস্তুচ্যুতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মানবিক সংকটের মুখোমুখি হওয়া থেকে দেশগুলোকে রক্ষায় মানব গতিশীলতার পাঁচটি বিষয়ের ওপর নজর দেওয়া দরকার।
মঙ্গলবার আইওএমের ‘মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব: সমাধানের জন্য বৈশ্বিক আহ্বান’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সম্প্রচারিত ভিডিও বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাসস জানায়, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এর তিনদিনের ১১৪তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। সংস্থার সদরদপ্তরে এ অধিবেশনের অন্য কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বৈঠক হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জলবায়ুর কারণে স্থানচ্যুতি হওয়ার ঘটনা ঘটে জাতীয় সীমানার মধ্যে এবং কিছু ভয়ানক পরিস্থিতিতে দেশের বাইরে স্থানান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে মানবিক সংকটে পরিণত না হয়, সেজন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সংহতি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা বাস্তুচ্যুত বা আটকে পড়েছেন, তাদের মৌলিক পরিষেবা, সুরক্ষা এবং জীবিকার বিকল্পগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকা দরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার ২০ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, ঘন ঘন বন্যা এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড় তাদের বাস্তুচ্যুতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এ ধরনের স্থানচ্যুতি আমরা যা ভাবি তার চেয়ে দ্রুতগতিতে ঘটছে।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের চলাফেরায় যে প্রভাব পড়ছে, তা মোকাবিলায় সরকারপ্রধান পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত, আমাদের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অধিকারভিত্তিক পদ্ধতিতে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, জলবায়ু অভিবাসীদের অভিঘাত এবং ক্ষতির প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট সমাধান খুঁজে বের করার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার আলোকে আমাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে। তৃতীয়ত, অভিবাসনকে জলবায়ু অভিযোজন কৌশল হিসেবে দেখার জন্য আমাদের স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রস্তুত হতে হবে, যেখানে এটি সর্বোত্তম সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে প্রমাণিত হবে।
চতুর্থত, জলবায়ু অভিবাসী, বিশেষ করে নারী, শিশু এবং অন্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মান পর্যালোচনা করতে হবে এবং পঞ্চমত, সংকীর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে এটির জন্য একটি গঠনমূলক অবস্থান তৈরিতে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিষয়ে আমাদের উন্নত গবেষণা ডেটা এবং প্রমাণের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা উচিত।
সূত্র: সমকাল