কারণ ও দায়ীদের খুঁজতে কমিটি করলেন হাইকোর্ট
![কারণ ও দায়ীদের খুঁজতে কমিটি করলেন হাইকোর্ট কারণ ও দায়ীদের খুঁজতে কমিটি করলেন হাইকোর্ট](https://www.dainikgaibandha.com/media/imgAll/2024March/30-2403050958.jpg)
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে আইন অনুসারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা এবং ভবিষ্যতে আরো কী পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ কমিটি বেইলি রোডে আগুনের কারণ অনুসন্ধান করবে এবং কারা এর জন্য দায়ী তা খুঁজে বের করবে। কমিটিতে পুলিশ, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েট ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে। কমিটিকে আগামী চার মাসের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আইন অনুযায়ী স্কুল, কলেজ, শপিংমলসহ রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না রাখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর দৃশ্যমান স্থানে নোটিস টানাতেও বলা হয়েছে।
পৃথক দুটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ও আইনজীবী ইসরাত জাহান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
প্রসঙ্গত, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে গত রবিবার উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইসরাত জাহান। রিটে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে রিটে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রাজধানীর বেইলি রোডসহ সব আবাসিক
স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে আরেকটি রিট দায়ের করেন। রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার করা এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
সূত্র: ভোরের কাগজ