শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রকাশিত : ১০:০৩, ৩ মার্চ ২০২৪

বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই

বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই
সংগৃহীত

প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের টেকসই পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। যদি যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

শনিবার (২ মার্চ) প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণ তথা সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন ‘রেইজ প্রকল্প’র আয়োজনে রেফারেল ও আরপিএল বিষয়ে সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

প্রবাসী কল্যাণ ভবনের ‘অমর একুশে সম্মেলন কক্ষে’ প্রকল্প পরিচালক সৌরেন্দ্র নাথ সাহার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান।

হামিদুর রহমান বলেন, প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। তিনি আরএআইএসই প্রকল্প বাস্তবায়নে টিটিসি/ডিইএমও-এর কর্মকর্তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) সালেহ আহমদ মুজাফফর। তিনি বিএমইটি’র আওতাধীন সব কর্মকর্তাকে প্রকল্প বাস্তবায়নে (রেফারেল/আরপিএল) সহযোগিতা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে আমন্ত্রিত চল্লিশটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ এবং বিএমইটির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ রানা, উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ আলী, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ ও ঢাকা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালকসহ আইওএম’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএআইএসই প্রকল্প ও আইওএম-এর আওতায় বাস্তবায়িত সেমিনারে আইওএম বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল। সেমিনারে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম উপস্থাপন করেন উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদ আনোয়ার।

টিটিসির অধ্যক্ষরা ফিরে আসা অভিবাসী কর্মীদের সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা বলেন, প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের টেকসই পুনঃএকত্রীকরণে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। যদি যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় সেক্ষেত্রে তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। অধ্যক্ষরা এসব অভিবাসী কর্মীদের টিটিসি প্রদত্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মর্মে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, বিদেশে গিয়ে দক্ষতা অর্জনকারী কর্মীদের আরপিএল-এর আওতায় টিটিসির মাধ্যমে সনদের ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে দক্ষতা সনদ পাওয়া কর্মীরা দেশে-বিদেশে উচ্চ বেতনে কাজের সুযোগ পাবে।

দুই লাখ বিদেশফেরত কর্মীর পুনঃএকত্রীকরণে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। সারাদেশে ৩০টি ওয়েলফেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে ৬৪ জেলায় প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় কাউন্সিলিং ও রেফারেল পরবর্তী সময়ে প্রতি কর্মীকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ২ লাখ কর্মীকে প্রণোদনা দেওয়া হবে। ২০১৫ সাল থেকে বিদেশফেরত কর্মীরা প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত হবে।

সূত্র: জাগো নিউজ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ