হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ
![হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ](https://www.dainikgaibandha.com/media/imgAll/2023December/07-2312050416.jpg)
উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে একটি হোটেলকক্ষে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকার সুপ্রিমকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তার সমাধি রয়েছে।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্ম ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান। শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন।
শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও। তার প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনা ঘটেছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট এবং অবিস্মরণীয় বিজয়। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় সুধীসমাজ তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করেন।
দিনটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ আমাদের সব সময় সাহস ও প্রেরণা জোগায়। জাতি এ মহান নেতার অবদান সব সময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
প্রতিবছরের মতো এবারও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকাল ৯টায় বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টসংলগ্ন মরহুমের মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালনে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার নেতৃত্বের অসাধারণ বলিষ্ঠতা, দৃঢ়তা ও গুণাবলি জাতিকে সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি এবং দলের মহাসচিব ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার গণমানুষের প্রিয় নেতা। তিনি তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আপসহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ জাতীয় পার্টি-জেপির কর্মসূচিতে রয়েছে সকাল সাড়ে ৮টায় মরহুম নেতার মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত।
সূত্র: ইত্তেফাক