শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রকাশিত : ১০:০৩, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

বিমানে যুক্ত হলো বিশ্বখ্যাত ‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ ডিসপ্যাচ সলিউশন

বিমানে যুক্ত হলো বিশ্বখ্যাত ‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ ডিসপ্যাচ সলিউশন
সংগৃহীত

বাংলাদেশে এই প্রথম ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে জার্মানির লুফথানাসা এয়ারলাইন্সের সিস্টেমের বিশ্বখ্যাত ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলিউশন সফটওয়্যার ‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ চালু করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ সফটওয়্যারটির সম্পূর্ণ ডিসপ্যাচ ব্যবস্থার মাধ্যমে নিখুঁত ও সাশ্রয়ী ফ্লাইট প্ল্যানিং করা সহজ।

মঙ্গলবার বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় জার্মান প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সফটওয়্যারটি উদ্বোধন করেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম। অনুষ্ঠানে লুফথানাসা সিস্টেমের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিইও টম ভ্যানড্যানডিল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ফ্লাইট প্ল্যান করা এবং যেসমস্ত দেশের ওপর দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে সেসকল দেশের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ইউনিটকে অবহিত করা ব্যাধ্যতামূলক। ফ্লাইট প্ল্যান করার ক্ষেত্রে অন্যতম বিবেচ্য বিষয়গুলো হচ্ছে গন্তব্যের দূরত্ব, উড়োজাহাজের গতিবেগ, আবহাওয়ার অবস্থা, জরুরি অবস্থায় সম্ভাব্য বিকল্প গন্তব্য নির্ধারণ, জ্বালানি তেলের পরিমাণ নির্ধারণ ইত্যাদি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দীর্ঘদিন সিটা ফ্লাইট প্ল্যান সিস্টেম ব্যবহার করে আসছিল। সিটার পর সাময়িকভাবে কিছুদিন স্কাইপ্ল্যান সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীতে বিমানকে একটি স্মার্ট এয়ারলাইন্সে রূপান্তরের প্রক্রিয়া হিসেবে লুফথানাসা সিস্টেমের ‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলিউশন বেছে নেয়া হয়েছে।

কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস এয়ারলাইন্স, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মতো জনপ্রিয়, বিলাসবহুল ও বিখ্যাত এয়ারলাইন্সও লুফথানাসার ‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলিউশন ব্যবহার করে।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, বিমানকে স্মার্ট এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ হিসেবে বিখ্যাত ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলিউশন ‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা অত্যন্ত নিখুঁত, সুরক্ষিত এবং সাশ্রয়ী ফ্লাইট প্ল্যান করতে পারবো। এছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবহাওয়া ও প্রতিকূল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বিকল্প পন্থা অবলম্বনেও সহযোগিতা পাওয়া যাবে। ফ্লাইট আকাশে চলাকালীন লাইভ মনিটরিং, সবচেয়ে কম খরচে যাত্রাপথ নির্ধারণ এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরাপদ ফ্লাইটের জন্য নিখুঁত পারফরম্যান্স হিসাব করা সম্ভব হবে।

‘লিডো ফ্লাইট ৪ডি’ ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশন ব্যবহারের মাধ্যমে বছরে প্রায় ২০ কোটি টাকার অধিক সাশ্রয় হবে বলেও জানান তিনি।

 

সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ