রোববার   ১৯ মে ২০২৪ || ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ১ এপ্রিল ২০২৪

তরমুজের দাম ২৫ টাকা, তবুও মিলছে না ক্রেতা

তরমুজের দাম ২৫ টাকা, তবুও মিলছে না ক্রেতা
সংগৃহীত

তরমুজে সয়লাব হয়েছে জামালপুরের বিভিন্ন বাজার। দামও হাতের নাগালে। তবুও ক্রেতার আসায় তরমুজ স্তূপ করে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে যে পরিমাণ তরমুজ আমদানি হয়েছে তার অর্ধেকও ক্রেতা নেই।

মাসের শুরুতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে। বর্তমানে খুচরা বাজারে সেই তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে শুরু করে অতিরিক্ত ৩৫ টাকা দরে। তবে পাইকারি বাজারে আরো কম।

সরেজমিনে রোববার (৩১ মার্চ) রাতে পৌর শহরের গেটপাড়, শফি মিয়ার বাজার, স্টেশন রোড, দময়ামী মোড়, সকাল বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, দোকানিরা ক্রেতার অপেক্ষায় তরমুজের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। অলস সময় পার করছেন তারা। রমজান ও দাবদাহের কারণে কিছুদিন আগেও তরমুজ প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। আর এখন তা ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় নামলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

গেইটপাড়ে তরমুজ ব্যবসায়ী মানিক বসে আছেন তরমুজ নিয়ে। ক্রেতা আলমগীর এসে একটি তরমুজ মাপতে বললে দোকানি ওজন করে ২৫৪ টাকা দাম চাইলেন। ক্রেতা ২২০ টাকা বলেই চলে যেতে চাইলে পরে ২৩০টাকায় বিক্রি করে দেন।

ক্রেতা আক্তার হোসেন বলেন, গত এক সপ্তাহ আগেও তরমুজের যে দাম ছিল, চলতি সপ্তাহে তার অর্ধেকে নেমে এসেছে। রমজানের শুরুতে তরমুজ কিনতে না পারলেও এখন হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে।

তরমুজ ক্রয় করতে আসা যুবক সোহাগ বলেন, ইফতারের জন্য তরমুজ কিনলাম। এখন যদিও দাম অর্ধেকে নেমেছে তাও এ ফল কেনার প্রতি আগ্রহ নেই। তারপরও ৩০ টাকা কেজি দরে একটি কিনেছি।

পৌর শহরের দয়াময়ী মোড় এলাকার তরমুজ বিক্রেতা জয়নাল বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দাম কমেছে। আমদানি বেশি হওয়ায় তরমুজের দাম নেমে গেছে।

অপরদিকে জামালপুর পৌর শহরের ডাকপাড়ায় পাইকারি ও খুচরা দরে তরমুজ বিক্রি করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে বোঝাই তরমুজ আসছে। প্রতিটি আড়তে স্তরে স্তরে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন আকারের তরমুজ। ভোর হবার সঙ্গে সঙ্গেই শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা এসে তাদের চাহিদা মতো ক্রয় করে নেবেন।

ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে প্রত্যেকটি ঘরেই তরমুজ রয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে তার চেয়ে কয়েকগুণ তরমুজ মজুদ রয়েছে। তাছাড়া এ ফলটি পচনশীল হবার ফলে নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রি করতে না পারলে নষ্ট হয়ে যাবে।

জামালপুর শহরের ডাকপাড়ায় আড়তে ট্রাক থেকে তরমুজ নামাচ্ছেন আবুল, ছলিম ও তার সহযোগীরা। তারা বলেন, হঠাৎ বৃষ্টির কারণে জমিতে অনেক তরমুজ নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। লোকসানের ভয়ে কৃষকরা তরমুজ বাজারে তুলছেন। তাই আগের তুলনায় দাম অনেকটা কম। আবার দাম কমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ না উঠায় অনেক কৃষক তরমুজ তুলছেন না। তাই এখন জমিতেই পচে যাচ্ছে তরমুজ। ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে। আর একবারে বাজারে তোলার ফলে চাহিদাও কমে গেছে।

শুধু জামালপুর শহরেই নয়। সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জের হাট-বাজারগুলোতে একই অবস্থা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, শুধু তরমুজই নয়, আপেল, আঙ্গুর, মালটাসহ অন্যান্য ফলেরও চাহিদা কম। দামের কারণে হয়তো ক্রেতা কমে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশজুড়েই।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ