শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রকাশিত : ১৭:৫৬, ৩ মার্চ ২০২৪

বাসর রাতের পরদিনেই নববধূকে রেখে উধাও মোত্তালিব, অতঃপর...

বাসর রাতের পরদিনেই নববধূকে রেখে উধাও মোত্তালিব, অতঃপর...
সংগৃহীত

বিয়ের একদিন পর বাড়িতে নববধূ রেখে নিখোঁজ হন রংপুরের পীরগঞ্জের কৃষক মোত্তালিব। নিখোঁজের সাত দিন পর তার অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া যায় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার সরিষাক্ষেতে। পুলিশ বলছে, অর্ধগলিত হওয়ার কারণে এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু, সে ব্যাপারে তারা ধারণা করতে পারছে না।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের সিংজানি গ্রামের গোয়ালিয়া মাঠের সরিষাক্ষেতে তার লাশ পাওয়া যায়।

স্বজনরা জানান, কৃষক মোত্তালিব হোসেন প্রধান রংপুরের পীরগাছা উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের গরিব উল্লাহ প্রধানের ছেলে। পুলিশের বিশেষজ্ঞ দল লাশের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তার নামপরিচয় বের করে। খবর পেয়ে চাচা আবদুস সালাম, নববধূ স্বপ্না খাতুন ও স্বজনরা বৃহস্পতিবার রাতে নন্দীগ্রাম থানায় এসে পরিধেয় জ্যাকেট, শার্ট, লুঙ্গি ও স্যান্ডেল দেখে লাশটি শনাক্ত করেন। এর আগে স্থানীয় গ্রামপুলিশ লক্ষণ চন্দ্র থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।

নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন জানান, বড় ভাই মোত্তালিব হোসেন প্রধান গত ১৮ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে স্বপ্না খাতুনকে বিয়ে করেন। ওইদিন স্ত্রীকে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের বাড়িতে আনেন। বাসর রাতের পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘরে নববধূকে রেখে কাউকে না জানিয়ে তিনি নিরুদ্দেশ হন। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 

তিনি আরো জানান, তার ভাই খুবই নিরীহ মানুষ ছিলেন। ভাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে নববধূ ভাবির জন্য তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।

শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসেন জানান, নিহত ওই কৃষকের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই এটি হত্যা না আত্মহত্যা, নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। লাশ স্বজনদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বুড়ইল ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ চকরামপুর আধখোলা এলাকার লক্ষণ চন্দ্র বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন।

সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ