শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রকাশিত : ১১:১৬, ৩ অক্টোবর ২০২৩

কলাইয়ের বাম্পার ফলন, চাষও বেড়েছে

কলাইয়ের বাম্পার ফলন, চাষও বেড়েছে

মৌসুমি ফসল কলাই চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর কলাইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। চৌগাছা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানান, এ বছর উপজেলায় মোট ৪০৫ হেক্টর জমিতে কলাই চাষ হয়েছে। গাইবান্ধার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, কলাই অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল।

কলাই চাষে তুলনামূলক পরিশ্রম কম এবং সার, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। স্বল্প খরচে এই ফসলের উৎপাদন ভালো। কলাই দিয়ে কুমড়া বড়ি তৈরি হয়। মুগ কলাই থেকে তৈরি হয় মুগ ডাল। আর ১ মাসের মধ্যে কলাই ঘরে তুলতে পারবেন কৃষক। তবে প্রত্যাশিত মূল্য পাওয়ার ব্যাপারে চিন্তিত তারা। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'ফসল যখনই বিক্রির জন্য বাজারে নেওয়া হয় তখনই হঠাৎ করে দাম কমে যায়। অথচ ফসল বাজারে আসার আগে দাম থাকে চড়া। অন্য ফসলের মতো কলাই বাজারে যখন তোলা হবে তখন দর কমে যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি।'

তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন অন্যান্য কৃষকরাও। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও কোরিয়াতে কলাই চাষ হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, মুগ ডালে ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এটি রক্তচাপ কমাতে কার্যকারী। এটি হার্টের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। মুগ ডালে ফাইবার এবং প্রতিরোধী স্টার্চ থাকার কারণে এটি হজমে ভালো কাজ করে। এই ডালের ২০২ গ্রামে প্রায় ১৫ দশমিক ৪ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, 'মুগ ও মাস কলাই দিয়ে শুধু ডাল বা কুমড়া বড়ি হয় তাই না। ডালশষ্য চাষের পর জমিতে বিঘা প্রতি ৬-৮ কেজি নাইট্রোজেন (১৩-১৭ কেজি ইউরিয়ার সমান) মাটিতে যুক্ত হয়। কারণ ডালশষ্যের শিকড়ে গুটির মধ্যে থাকা রাইজোবিয়াম জীবাণু বাতাসের নাইট্রোজেন শোষণ করে গাছকে দেয় এবং বাকিটা মাটিতে জমা হয়। আবার ডালশষ্য চাষের পর গাছে ফুল-ফল আসার আগে সেগুলো মাটিতে মিশিয়ে দিলে জৈব সার তৈরি হয়। জৈব সার হচ্ছে মাটির প্রাণ।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা এ ধরনের ফসল উৎপাদনে চাষিদের বরাবরই সার্বিকভাবে সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।'

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ