মাঠে হাসছে লালশাক, কৃষকের মুখেও হাসি
![মাঠে হাসছে লালশাক, কৃষকের মুখেও হাসি মাঠে হাসছে লালশাক, কৃষকের মুখেও হাসি](https://www.dainikgaibandha.com/media/imgAll/2023September/Screenshot_57-2309181014.jpg)
লালশাকের ভালো ফলনে উৎফুল্ল কৃষকরা বলেন, মাঠে এখন হাসছে লালশাক। দূরদুরান্ত থেকে পাইকাররা আসছেন। লালশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। হাটে নেয়ার খরচ লাগছে না।
প্রান্তরজুড়ে লালশাক। নারী-পুরুষ একযোগে শাক তুলে বাঁধছেন আটি। পাইকাররা গুনেগুনে গাড়িভর্তি করছেন লালশাকে। এমন দৃশ্যের দেখা মেলে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আবিদপুর গ্রামে। স্থানীয়রা জানান, লালশাক শীতকালীন হলেও আগাম চাষে ভালো মুনাফা হয় বলে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে মৌসুম ভিন্ন সময়ে এ শাক চাষে।
বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার বিকেলে ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন শাকসবজি চাষ ও ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এখন মাঠে রঙিন হয়ে আছে লালশাক। আবিদপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি এ বছর ৪৫ শতাংশ জমিতে লালশাক চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিক থাকলে তার অন্তত ৫০ হাজার টাকা মুনাফা হবে।
গোবিন্দপুর গ্রামের এমদাদুল হক বলেন, ‘২০০ শতক জমিতে লালশাক চাষ করেছি এবার। ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। ২০ দিন আগে রোপণ করা লালশাক। এখন বাজারজাত করার সময় হয়েছে। শ্রমিক, সার ও বীজ খরচ বাদে এবার মুনাফা হবে অন্তত ৫০ হাজার।’ স্থানীয় কৃষক বিল্লাল হোসেন, শরীফ মিয়া ও আবদুস সালাম জানান, গেল মাস ও চলতি মাসে দুই দিন ভারি বৃষ্টি হয়। এ দুই দিনের বৃষ্টিতে জমিতে থাকা ছোট লালশাক নষ্ট হয়ে যায়, তবে তারা দমে যাননি এতে। জমি প্রস্তুত করে আবারও লালশাক রোপণ করেছেন।
ভালো ফলনে উৎফুল্ল কৃষকরা বলেন, মাঠে এখন হাসছে লালশাক। দূরদুরান্ত থেকে পাইকাররা আসছেন। লালশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। হাটে নেয়ার খরচ লাগছে না। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিণা আক্তার বলেন, ‘এ বছর বুড়িচং উপজেলায় আগাম লালশাক করা হয়েছে ২৫ হেক্টর জমিতে। শীতকালে এ চাষ আরও বেড়ে যাবে। তখন লক্ষ্যমাত্রা হবে ১২৫ হেক্টর জমি। শীতকাল আসা পর্যন্ত চাষিরা আরও অন্তত তিন থেকে চারবার লালশাক চাষ করবেন। এখন মাঠে আগাম লালশাক রোপণ করেছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। চাষিরা ভালো মুনাফা করতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তারাও মাঠে চাষিদের পরামর্শ দিতে যাচ্ছেন।’
দৈনিক গাইবান্ধা