শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রকাশিত : ১১:০৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শসার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

শসার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

শসার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। রূপসা পাড়ের ৩০টি গ্রামে চাষ হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল ৭টি জাতের শসা। বিস্তীর্ণ বিলজুড়ে শুধুই সবুজে ঘেরা শসা ক্ষেত। ঘেরের পাড়ে সারি সারি মাচায় ঝুঁলছে শসা। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় শসার ফলন বেশ ভালো হয়েছে।ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে দাম ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারের মৌসুমে উপজেলার ভবানীপুর, পেয়ারা, জাবুসা, দুর্জ্জনীমহল, ডোমরা, চন্দনশ্রী, বাধাল, আমদাবাদ, দেবীপুর, নৈহাটী, সামন্তসেনা, তিলক, খাজাডাঙ্গা, পাথরঘাটা, স্বল্পবাহিরদিয়া, আলাইপুর, পুটিমারি, আনন্দনগর, পিঠাভোগ, গোয়ালবাড়িরচর, সিঁন্দুরডাঙ্গা, নারিকেলী চাঁদপুর, ডোবা, বলটি, নতুনদিয়া, ধোপাখোলা, গোয়াড়া, শিয়ালী, চাঁদপুর ও বামনডাঙ্গা গ্রামের মাছের ঘেরের পাড়ে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে শসা চাষ হয়েছে। ঘেরের পাড়ে শসা চাষ করে কম সময়ে অধিক লাভবান হয়েছেন কৃষকরা।

কৃষক টিপু সুলতান বলেন, মৎস্য ঘেরের পাড়ে এক বিঘা জমিতে গ্রিন লাইন নামক হাইব্রিড জাতের শসা চাষ করেছি। এতে বীজ, সার, মাচা তৈরি, শ্রমিক ও কীটনাশক বাবদ প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০ মণ শসা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আরও প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকার শসা বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। আরেক কৃষক শহিদুল শেখ জানান, ঘেরের পাড়ে চার বিঘা জমিতে শসা চাষ করতে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৮০০ টাকা মণ দরে এ পর্যন্ত ১০০ মণ শসা ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এরকম দাম থাকলে আরও ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকার শসা বিক্রি করতে পারবো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার শসার ফলন ভালো হয়েছে এবং দামও ভালো পাচ্ছি।

কৃষকেরা বলেন, রূপসা উপজেলার আলাইপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রহমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের পাশে থেকে শসা চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। ফলে সাফল্য সহজে ঘরে তুলতে পারছেন তারা। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রহমান জানান, বেশি লাভ হওয়ায় মৎস্য ঘেরের পাড়ে শসা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন এখানকার কৃষকেরা। গত ৪ বছরে রূপসা উপজেলার অনন্ত ৩০ গ্রামে ঘেরের পাড়ে শসা উৎপাদনের এ কর্মযজ্ঞ ছড়িয়ে পড়েছে। শসা উৎপাদনে সরগরম হয়ে উঠেছে এসব গ্রাম। ঘেরের পাড়ে শসা ও অন্যান্য শাকসবজি চাষে কৃষকরা স্বাবলম্বী হয়েছেন।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ